ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

স্ত্রীকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ

স্ত্রীকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ

মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ | ০৪:১৭ | আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ | ০৫:২৩

রংপুরের মিঠাপুকুরে নাসরিন বেগম (২৩) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার পর ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী রাজু মিয়া পলাতক রয়েছেন।

নিহত নাসরিন বেগম রংপুর সদরের লক্ষণপাড়া গ্রামের ইলিয়াস আলীর মেয়ে ও মিঠাপুকুরে উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের কেশবপুর তকেয়াপাড়া গ্রামের রাজু মিয়ার স্ত্রী।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সাত বছর আগে নাসরিন বেগমের সঙ্গে পোশাক কারাখানার শ্রমিক রাজু মিয়ার বিয়ে হয়। তাদের ছয় বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে। রাজুর বিরুদ্ধে জুয়া, মাদক সেবনসহ বহু অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। কিছুদিন আগে নাসরিনের অনুমতি ছাড়াই গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেন রাজু। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়। স্থানীয়ভাবে বিষয়টির সালিশও হয়। এরই জের ধরে শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আবারও ঝগড়া শুরু হয়। এ সময় নাসরিনকে মারধর করেন রাজু। পরে শনিবার সকালে তাদের শয়নঘরে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় নাসরিনের মরদেহ দেখতে পান প্রতিবেশিরা। খবর পেয়ে মিঠাপুকুর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের পরিবারের দাবি, হত্যার পর নাসরিনের মরদেহ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়েছেন স্বামী রাজু। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মোকলেছার রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

মোকলেছার রহমান বলেন, বিয়ের পর থেকে আমার বোনকে কারণে-অকারণে নির্যাতন করতেন রাজু। এ নিয়ে বহুবার মিমাংসা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, শুক্রবার রাতে বোনকে বেদম মারপিট করেন রাজু। তারপর তাকে মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেন।

মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুজ্জামান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়ছে। তদন্ত রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে নিহতের স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। ওই নারীর মৃত্যুর পর স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ির লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। এ কারণে কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন

×