ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

বরিশালে ড্রামে নারীর লাশ

টাকা ফেরত না পাওয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যা

টাকা ফেরত না পাওয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যা

টাকা ফেরত না পাওয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ- সমকাল

বরিশাল ব্যুরো

প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ | ১০:২০

বিদেশ যাওয়ার জন্য কাতার প্রবাসী সহিদুল ইসলামের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে ছয় লাখ টাকা দিয়েছিল আব্দুল খালেক। তাকে বিদেশ পাঠাতে ব্যর্থ হন সাবিনা। এ নিয়ে বাদানুবাদের একপর্যায়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে সাবিনাকে হত্যা করে খালেক। 

এ হত্যাকাণ্ডের ৩৫ দিন পর গ্রেপ্তার খালেক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে এ তথ্য জানিয়েছে।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বরিশাল সদর উপজেলার হিজলতলা এলাকা থেকে খালেককে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার সকাল ১১টায় নগরীর রূপাতলীতে পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পিবিআই বরিশালের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর।

গত ২০ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে গৌরনদীর ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীবাহী একটি বাসে ড্রামের মধ্যে বোরকা পরা অবস্থায় সাবিনার লাশ পাওয়া যায়। তার স্বামী সহিদুল ইসলাম কাতার থাকেন। এ দম্পতি বিদেশে লোক পাঠানোর ব্যবসা করতেন। তাদের বাড়ি গৌরনদী পৌর শহরের দিয়াশুর এলাকায়। এই দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে।

শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর জানান, আব্দুল খালেককে গৌরনদী থানায় হস্তান্তরের পর থানা থেকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

খালেকের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে এ সময় জানানো হয়, বিদেশ যেতে ব্যর্থ হয়ে টাকা ফেরত চায় খালেক। কিন্তু টাকা ফেরত না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ২০ নভেম্বর সে সাবিনাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বরিশাল নগরীর কাশিপুরের একটি বাসায় ডেকে আনে। ওই বাসার কেয়ারটেকার ছিল খালেক। সেখানে বাদানুবাদের একপর্যায়ে রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে সাবিনাকে হত্যা করা হয়। পরে মৃতদেহটি একটি ড্রামে ভরে যাত্রীবাহী বাসে তুলে গৌরনদীর দিকে যায় খালেক। তখন সে বাসের কর্মচারীদের বলেছিল ড্রামের মধ্যে কাচের মালপত্র আছে। 

গৌরনদীর ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছার পর ভ্যানগাড়ি আনার কথা বলে বাস থেকে নেমে পালিয়ে যায় খালেক।

আরও পড়ুন

×