ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

ভোট শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর মৃত্যু

ভোট শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর মৃত্যু

বিএনপির মেয়র প্রার্থী আবুল খয়ের খান, ফাইল ফটো

খুলনা ব্যুরো, দাকোপ, পাবনা ও চাটমোহর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ | ১০:১১

ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে মারা গেছেন খুলনার চালনা পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আবুল খয়ের খান (৬০)। পরে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনটির ফলাফল স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এর আগে নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরই করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে এ মেয়র প্রার্থীর। এরপর গত ২৩ ডিসেম্বর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু সোমবার ভোটগ্রহণের দিন বিকেল সাড়ে ৩টায় ওই হাসপাতালে মারা যান তিনি।

অন্যদিকে সোমবার পাবনার চাটমোহর পৌরসভার ভোটগ্রহণ চলাকালে একটি কেন্দ্রে এসে হৃদরোগে মারা যান একজন নৌকা সমর্থক। তিনি হলেন সুজন মাহমুদ। তার গ্রামের বাড়ি বিলচলন ইউনিয়নের নটাবাড়িয়ায়।

চালনা পৌরসভার প্রার্থী আবুল খয়ের করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তার পক্ষে প্রচারে অংশ নেন দাকোপ উপজেলা ও জেলা বিএনপির নেতারা। এরমধ্যে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে সোমবার দুপুর ২টায় ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয় বিএনপি।

উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মান্নান। এর দেড় ঘণ্টা পরেই প্রার্থীর মৃত্যুর খবর আসে।

একই অভিযোগ করেন চালনা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অচিন্ত কুমার মণ্ডল। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। আঙুলের ছাপ দেওয়ার পর গোপন কক্ষে বসে নৌকার এজেন্টরা ইচ্ছামতো ভোট দিয়ে দিচ্ছেন।

তবে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সনৎ কুমার বিশ্বাস দাবি করেন, ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে।

চালনা পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, প্রার্থীরা কেউ এ ধরনের অভিযোগ করেননি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। ৮০ ভাগ ভোটার ভোট দিয়েছেন।

ঢাকা থেকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. আলমগীর জানান, প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে খুলনার দাকোপ উপজেলার চালনা পৌরসভা নির্বাচনের মেয়র পদের ফলাফল স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চালনা পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট বিকেল সোয়া চারটায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করে প্রার্থীর মৃত্যুর খবর জানান। ভোটগ্রহণ চলাকালে বেলা ৩টা ৩২ মিনিটে তিনি মারা গেছেন বলে ওই আবেদনে জানানো হয়।

এদিকে, পাবনার চাটমোহর পৌরসভার নয়টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয় সোমবার সকাল ৮টায়। এরই মধ্যে সোয়া ১০টায় এনায়েতুল্লাহ মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে এসে হৃদরোগে মারা যান সুজন মাহমুদ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকালে বালুচর মাঠ এলাকায় কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। পরে হঠাৎ করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

চাটমোহর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, সুরতহাল শেষে কোনো অভিযোগ না থাকায় সুজনের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

×