ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

কুষ্টিয়ায় যুবলীগ নেতাকে ফাঁসানোর অভিযোগে ডিসি অফিস ঘেরাও

কুষ্টিয়ায় যুবলীগ নেতাকে ফাঁসানোর অভিযোগে ডিসি অফিস ঘেরাও

কুষ্টিয়ায় যুবলীগ নেতা রাশেদুল ইসলামকে মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও - সমকাল

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২১ | ০৯:০৪ | আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২১ | ০৯:১৭

কুষ্টিয়ায় যুবলীগ নেতা রাশেদুল ইসলামকে মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ এবং ষড়যন্ত্রে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন কয়েক হাজার মানুষ। 

বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসব কর্মসূচি পালন করেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এ সময় তারা রাশেদুলের মুক্তির দাবি জানান।

রাশেদুল ইসলাম কুষ্টিয়া জেলা যুবলীগের প্রস্তাবিত কমিটির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক এবং সদর উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক। গত ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ভবানীপুর বাজার থেকে সাদা পোশাকের চার র‌্যাব সদস্য তাকে তুলে নিয়ে যায়।

পরে র‌্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাশেদুলের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ওই মামলায় রাশেদুল কারাগারে আছেন।

বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন জেলা যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবু তৈয়ব বাদশা, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজু, আওয়ামী লীগ নেতা একরামুল হক প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, যুবলীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। র‌্যাবের কথিত সোর্স চরমপন্থি নেতা জাহাঙ্গীর কবির লিপটন ও মামুন অর রশিদ মামুন এ ষড়যন্ত্রের মূল হোতা। কাঞ্চনপুরে বিএনপি-জামায়াতের এক সময়কার অন্যতম পৃষ্ঠপোষক আনিচুর রহমান ঝন্টু এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। ঝন্টুর বাবা ছিলেন পিস কমিটির অন্যতম নেতা। চরমপন্থি লিপটন হচ্ছেন ঝন্টুর বড় ভাইয়ের ভায়রার ছেলে। আত্মীয়তার সুবাদে লিপটনকে কাজে লাগিয়ে নিরীহ লোকজনকে ফাঁসাচ্ছেন তিনি। যারা প্রকৃত আওয়ামী লীগ পরিবারের লোকজন, তাদের টার্গেট করা হয়েছে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রাশেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা নেই। তিনি অস্ত্রের রাজনীতিও করেন না। অথচ তাকে আটকের পর র‌্যাব বলছে তিনি চরমপন্থি নেতা, তার বিরুদ্ধে নাকি পাঁচটি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া তার কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের নাটকও সাজানো হয়েছে।

তারা আরও বলেন, লিপটন ও মামুন র‌্যাবের নাম ভাঙিয়ে মাদক ব্যবসা, অস্ত্র ব্যবসা ও নিরীহ লোকজনকে ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। যারা টাকা দিচ্ছেন না তাদের ফাঁসানো হচ্ছে। একাধিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত লিপটন। অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান এলাকাবাসী।

আরও পড়ুন

×