ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

সমবায় সমিতির অফিসে মিলল ওএমএসের ৫০ বস্তা চাল

সমবায় সমিতির অফিসে মিলল ওএমএসের ৫০ বস্তা চাল

ছবি: সমকাল

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২১ | ০৯:৪০

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় সরকারের বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া ওএমএসের ১০ টাকা কেজি দরের ৫০ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দুপুরে নড়িয়া পৌরসভার বাংলাবাজারের মোহনা বহুমুখী সমবায় সমিতির কার্যালয় থেকে এ চাল উদ্ধার করা হয়।

করোনার প্রথম প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলার পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ১০ টাকা দরে দরিদ্রদের মাঝে বিক্রির জন্য এ চাল বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার। যা গত ২০২০ সালের জুন মাসের আগেই বিক্রি কার্যক্রম শেষ হওয়ার কথা। ধারণা করা হচ্ছে, ওই সময় কার্ডধারীদের না দিয়ে কালোবাজারে বিক্রির জন্য চাল মজুদ করে রাখা হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সমিতির ওই অফিসে করোনাকালীন সরকারের বিশেষ বরাদ্দের চাল রয়েছে জানতে পেরে বুধবার রাত ৮টার দিকে স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেন। খবর পেয়ে ইউএনও তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজ নিতে বলেন। এরপর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মিলন মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে সমিতির ওই কার্যালয়ের লোকজন ডেকে তালা খুলে ওএমএসের প্রায় ৫০ বস্তা চাল পান। পরে তিনি জানতে পারেন, ওই কার্যালয়ে ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রি করতেন চালের ডিলার জোসনা বেগমের স্বামী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম সরদার। স্ত্রীর নামে ডিলারশিপ নিয়ে শহিদুল ইসলাম সরদার নিজেই এটি পরিচালনা করতেন। তিনি সমিতির লোকজনকে ম্যানেজ করে সমিতির কার্যালয়ে বসেই চাল বিক্রি করতেন বলেও জানা গেছে।

নড়িয়া উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মিলন মিয়া বলেন, 'নড়িয়া পৌরসভার বাংলাবাজারে গিয়ে একটি সমিতির কার্যালয়ের ভেতরে করোনাকালীন ওএমএসের প্রায় ৫০ বস্তা চাল পাওয়া যায়।  এ চাল প্রায় নষ্টের পথে। আমরা রাতেই ওই কার্যালয়টি সিলগালা করে দিয়েছি। দুপুরের দিকে এ চাল জব্দ করে নিয়ে এসেছি।'

এ বিষয়ে ডিলার জোসনা বেগমের স্বামী শহিদুল ইসলাম সরদার বলেন, 'চালের মান খারাপ হওয়ায় ওই সময় কার্ডধারীরা চাল নিতে আসেননি। বিষয়টি আমি পৌর মেয়রকে জানিয়েছি। তিনি কোন ব্যবস্থা নিতে বলেননি। তাই চালগুলো ওখানেই রয়ে গেছে।'

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তানভীর আল নাসিফ বলেন, 'বুধবার রাতে স্থানীয় লোকজনের মাধমে জানতে পেরে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠাই। ঘটনার সত্যতা পওয়ায় রাতেই কার্যালয়টি সিলগালা করে দেই। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

আরও পড়ুন

×