ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

মুজিব জন্মশতবর্ষ

কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে কয়েদিদের নিয়ে সংগীত আয়োজন

কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে কয়েদিদের নিয়ে সংগীত আয়োজন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এক ভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ- সমকাল

কিশোরগঞ্জ অফিস

প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২১ | ০৯:৫৭

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এক ভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ। 

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বন্দিদের দিয়ে পরিবেশন করা হয় মাদকবিরোধী ও দেশাত্মবোধক সংগীত। বন্দিদের কণ্ঠে চমৎকার সংগীত পরিবেশনায় মুগ্ধ হন উপস্থিত প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

জেল সুপার বজলুর রশীদের তত্ত্বাবধানে সংগীত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. মজিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মাসউদ, স্বাস্থ্য বিভাগের সাবেক পরিচালক ও বেসরকারি কারা পরিদর্শক ডা. দীন মোহাম্মদ, বেসরকারি কারা পরিদর্শক সালমা বেগম, জেলার নাছির আহমেদ, ডেপুটি জেলার আবিদ আহমেদ, আকলিমা বেগম, গণপূর্তের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।

কারা অভ্যন্তরে গঠিত 'কারা পরিবার কল্যাণ সুর তরঙ্গ' একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনায় প্রথম মাদকবিরোধী 'আমরা বীর বাঙালি বীরের জাতি, বিশ্বে বড় সম্মান নিয়ে আছি, তাহলে আমরা আর না দেরি করি, আমরা মাদকমুক্ত বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ি।' এরপর 'আমায় নহে গো, ভালোবাস ভালোবাস মোর গান'সহ একে একে গেয়ে শোনান ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, পল্লীগীতি, দেশাত্মবোধকসহ নানা গান।

কয়েদি আনোয়ার, খেলু মিয়া, রাইহান, খজলু মিয়াসহ কমপক্ষে ১০ বন্দি শিল্পীর অনবদ্য গান মুগ্ধ হয়ে শোনেন অতিথিসহ কয়েকশ বন্দি। গানের ভেতর দিয়ে বন্দিদের মধ্যে আত্ম সংশোধন ও দেশ প্রেমের চেতনা সৃষ্টি করতেই গড়ে উঠেছে 'কারা পরিবার কল্যাণ সুর তরঙ্গ'। বন্দিরা জানান, জেল থেকে বের হওয়ার পর তারা আর অপরাধ করবেন না। একাধিক মাদকাসক্ত বন্দি বলেন, তারা আর কোনোদিন মাদক সেবন ও বিক্রি করব না। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শামীম আলম বন্দিদের অসাধারণ প্রতিভা ও পরিবেশনায় মুগ্ধতা প্রকাশ করে বলেন, গান শুনে আমি অভিভূত।

এ সময় কারা কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসককে কারাগারের অভ্যন্তরে কয়েদিদের সমন্বয়ে আরও যেসব সৃজনমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, সে সম্পর্কে অবহিত করে। বিশেষ করে বৃত্তিমূলক বিভিন্ন ট্রেডের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, সবজি চাষ প্রকল্প ও সাংস্কৃতিক চর্চা প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। এ সময় শামীম আলম বলেন, সনাতনী ধ্যান-ধারণা থেকে কারাগারকে বের করে আনার এই মহতী উদ্যোগ অবশ্যই আমাদের সামগ্রিক সমাজব্যবস্থায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কারাগার শুধু শাস্তি প্রদানের জায়গা নয়, দেশের প্রতিটি কারাগারকে প্রচলিত ধারণার বাইরে এনে সংশোধনাগার হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

আরও পড়ুন

×