পুঠিয়ায় লাঠির আঘাতে স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু

রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২১ | ০৪:৫৩ | আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২১ | ০৫:৩৭
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় দোকানের জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে আহত এক স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত শিক্ষকের নাম সোহেল রানা (৩৫)। তিনি পুঠিয়া উপজেলার মাহেন্দ্রা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবহান আলীর ছেলে। তিনি দোমাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। নিহত সোহেল রানা ৫ বছরের এক কন্যা ও দুই বছরের এক পুত্র শিশুর বাবা।
নিহতের চাচাতো ভাই ফিরোজ জানান, মাহেন্দ্রা বাজারে শিক্ষক সোহেল রানার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবাহান আলী একটি জায়গা কিনেছিলেন। জায়গাটি একই গ্রামের ভাদু মিয়ার ছেলে তাজুল ইসলাম ও মাজেদুল ইসলাম নিজেদের দাবি করে দখল নেওয়ার চেষ্টা করে। এলাকায় এ নিয়ে একাধিকবার সমঝোতা বৈঠকও বসে। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে আবারও মাহেন্দ্রা বাজারে উভয় পক্ষ মীমাংসায় বসেন। একপর্যায়ে ভাদু মিয়া, দুই ছেলে তাজুল ও মাজেদুল এবং তাদের সহযোগি জোবায়ের, সুলতান, ইকবাল, এরশাদ লাঠি দিয়ে সোহেল রানার মাথায় আঘাত করেন। এতে গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই সোহেল অচেতন হয়ে পড়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার ভোরে তিনি মারা যান।
মারামারির ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে সোহেল রানার বাবা বাদী হয়ে বেলপুকুর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় আটজনের নাম উল্লেখসহ আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। পুলিশ ওই দিন আসামি মাজেদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
বেলপুকুর থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, নিহত শিক্ষকের বাবা অনেক দিন আগেই জমিটি কিনেছিলেন। ওই জমি তাদেরই দখলে ছিল। দোকানঘর বসানোর নিয়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে বিরোধ হয়। প্রতিপক্ষের হামলায় সোহেল রানা আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
- বিষয় :
- রাজশাহী
- স্কুল শিক্ষক