মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচন
সুষ্ঠুভাবে নির্বাচিতদের আলাদাভাবে শপথ গ্রহণের দাবি কাদের মির্জার

আবদুল কাদের মির্জা- ভিডিও থেকে নেওয়া
কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ০৮:০৬
বাংলাদেশ আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা শতভাগ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের আলাদাভাবে শপথ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
তিনি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বসুরহাট, নোয়াখালীসহ চট্টগ্রাম বিভাগের যেসকল মেয়র ও কাউন্সিলর নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচিত হয়েছে, তাদেরকে যদি আদালাভাবে শপথ পাঠ করান, তাহলে তিনি মানুষের মাঝে ইতিহাস ও মাইলফলক হয়ে থাকবেন। যারা অনিয়মের ভোট করে, ভোট ডাকাতি করে নির্বাচিত হয়েছেন তারা এ থেকে শিক্ষা নেবেন। তিনি সোমবার সন্ধ্যায় সমসাময়িক বিষয়ের ওপর ফেইসবুক লাইভে এসে সাংবাদিক ও দেশবাসীর উদ্দেশে এসব কথা বলেন।
আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘সত্য কথা বলার বিষয়ে আমাকে অনেকে প্রশ্ন করেন, আপনি কি কেন্দ্রীয় নেতা, এমপি ও নোয়াখালী জেলা আ’লীগের নেতা হওয়ার জন্য এসব কথা বলছেন। তাদের উদ্দশ্য করে আমি বলতে চাই- আমি কেন্দ্রীয় নেতা হতে চাই না, এমপি হওয়ার ইচ্ছা আমার নেই, জেলা আ’লীগের নেতৃত্বও দিতে চাই না। আমি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের একজন সদস্য হয়ে থাকতে চাই। দায়িত্ব না নিয়েও দলের জন্য, মানুষের জন্য, কিছু করা যায় তা আমি প্রমাণ করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনোত্তর আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদের সাহেবের কাছে আমরা সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেলে তিনি আমাদের শান্ত থাকতে বলেন। তিনি আমাদের অভিভাবক, আমার পিতৃতুল্য বড় ভাই, আমার রাজনৈতিক আদর্শ। কিন্তু আগামী একমাসের মধ্যে যদি নোয়াখালীর অপরাজনীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তাহলে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে। নোয়াখালী-৫ আসন (নোয়াখালী ও কবিরহাট) ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী এলাকায় সদর আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী ও তার স্ত্রী, ছেলে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নমিনেশন বাণিজ্য করছেন। অনেক মনোনয়ন প্রত্যাশী আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন। এতে আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদেরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে, এটা কিছুইতে চলতে দেওয়া যায় না। একরাম করিম চৌধুরী বলেছেন- নোয়াখালী ওনার নিয়ন্ত্রণে, তাহলে চৌমুহনী পৌরসভা নির্বাচনে কীভাবে ওনার প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে যান। নোয়াখালী নেতাদের অপরাজনীতির কারণে নেত্রীর সব অর্জন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, এখানে নেত্রীর জনপ্রিয়তা বেড়েছে, নেতাদের জনপ্রিয়তা কমেছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বৃহত্তর নোয়াখালীর-১৩টি আসনের মধ্যে ৩-৪ জন ছাড়া অন্য এমপিরা জামানতও পাবেন না। আমরা কারো পরিবর্তন চাই না, সংশোধন চাই।’
আবদুল কাদের মির্জা আরও বলেন, ‘গত নির্বাচনে আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদের বলেছেন- ঘরে ঘরে চাকরি দিবেন, আমরা আমাদের এলাকার ছেলে-মেয়েদের সিভি পাঠালে সচিবেরা টেবিলের নিচ দিয়ে তা ফেলে দেন। আমরা জানি সরকারি চাকরি মেধার ভিত্তিতে হয়, তাই সরকারি চাকরি চাই না, কিন্তু এর বাইরে অনেক প্রকল্প আছে যেগুলোতে আমাদের এলাকার ছেলে-মেয়েদের চাকরি দেওয়া যায়। সড়ক পরিবহন ও সেতু সচিবেরা আমাদের এলাকার ছেলে-মেয়েদের চাকরি না দিয়ে ওনারা তাদের আত্মীয়-স্বজন ও টাকা নিয়ে লোকজনকে চাকরি দিচ্ছেন। আমাদের এলাকার ছেলে-মেয়েদের চাকরি যদি না হয়, তাহলে এর জন্য সচিবদের দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।’