যৌতুকের জন্য স্ত্রীর মাথা ন্যাড়া করার অভিযোগ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ০৯:৫৪
কাকলির বিয়ে হয়েছে মাত্র ১০ মাস। তিন মাসের মাথায় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। কিন্তু স্বামীর পরিবার চাচ্ছিল না এখন সন্তান হোক। তারা গর্ভের সন্তান নষ্টের পাঁয়তারা শুরু করে। এতে রাজি না হওয়ায় তার ওপর নির্যাতন শুরু হয়। যৌতুক চেয়ে পাঁচ মাস ধরে তার ওপর নির্যাতন চলছিল। সর্বশেষ তার মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়। ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলেও অভিযুক্ত স্বামী গ্রেপ্তার হয়নি।
জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার কাকলি বেগম উপজেলার হরিয়াতলা গ্রামের মৃত আবুল বাশারের মেয়ে। প্রজাবতখিলা গ্রামের হক মিয়ার ছেলে শাহ পরানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের তিন মাসের মাথায় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু স্বামীর পরিবার সেই সন্তান নষ্টের পাঁয়তারা শুরু করে। গর্ভপাত করাতে চিকিৎসকের কাছেও নেওয়া হয়েছিল তাকে। এতে রাজি ছিলেন না কাকলি। তাই তাকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়। সর্বশেষ তার মাথা ন্যাড়া করে আটকে রাখা হয়। এরপর কৌশলে গত বৃহস্পতিবার পালিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান। পরে রাতে তার মা থানায় মামলা করেন। অভিযোগ পেয়ে এলাকায় যায় পুলিশ। কিন্তু ততক্ষণে কাকলির স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। মামলায় কাকলির স্বামী শাহ পরান, শ্বশুর হক মিয়া ও এক দেবরকে আসামি করা হয়েছে।
গৃহবধূ কাকলি জানান, গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে না চাওয়ায় এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে তার ওপর নির্যাতন শুরু হয়। মারধরের পর মাথা ন্যাড়া করে বাড়িতে আটকে রাখা হয় তাকে।
তারাকান্দা থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন, গৃহবধূ অভিযোগ করলেও তার প্রতিবেশীরা বলছে, মাথায় জট হওয়ায় তার সম্মতিতেই স্বামী মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
- বিষয় :
- অন্তঃসত্ত্বা
- কাকলি
- মাথা ন্যাড়া