ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

এক বাড়িতেই ৭৩ মৌচাক

এক বাড়িতেই ৭৩ মৌচাক

বাড়ির কার্নিশসহ সব জায়গায় মৌমাছি বাসা বেঁধেছে -সমকাল

এবিএম ফজলুর রহমান, পাবনা

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ০০:৩৬ | আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ০০:৪৫

পাবনা সদর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের রওশন আলীর বাড়ি এখন যেন মৌমাছির অভয়াশ্রম। বাড়ির একটি দালান ও তার আশপাশে ৭৩টি মৌমাছির চাক বসেছে। 

সরেজমিন দেখা গেছে, রওশন আলির দোতালা বাড়ির কার্নিশ, বাড়ান্দাসহ আশপাশের গাছপালায় মৌচাক। এসব চাক থেকে প্রতি মাসে মধু সংগ্রহ হচ্ছে কমপক্ষে দুই মণ। 

কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন গাছে এবং বাড়িতে মৌমাছি বসতে আকৃষ্ট হয়। কিন্তু দালানে কিভাবে চাক বসে সে বিষয়ে গবেষণা চলছে।

স্থানীয়রা জানায়, গত ৫ বছর ধরে রওশন আলীর বাড়িতে এভাবেই বাসা বেঁধে আছে মৌমাছি। তবে এতগুলো মৌচাক আগে দেখা যায়নি। প্রতি বছর শীত এলেই এই বাড়িতে বাসা বাঁধে মৌমাছির দল। তবে এবারের মত এতগুলো মৌচাক আগে দেখা যায়নি। এক বাড়িতে এত চাক থাকলেও মৌমাছিগুলো কারো কোন ক্ষতি করে না।

শ্রীপুর গ্রামের কিষান ফ্লাওয়ার মিলের শ্রমিক কালু মিয়া সমকালকে বলেন, আমরা সবসময় ওই পাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে মিলে যাওয়াআসা করি। কিন্তু মৌমাছি কখনোই আমাদের কামড়ায় না।

বাড়ির আশপাশের সব জায়গাতেই মৌমাছির চাক -সমকাল

গ্রামের আলহা্ব শহিদুল্লাহ বলেন, মৌমাছিগুলো খুবই শান্ত প্রকৃতির। গত ৫ বছর ধরে শীতের শেষে তারা এখানে আসে। আমরা তাদের অতিথি মনে করি। আমরাও তাদের বিরক্ত করি না; ওরাও আমাদের ক্ষতি করে না।

বাড়ির মালিক রওশন আলী বলেন, প্রথমে ৬ থেকে ৭টি মৌচাক ছিল। এখন বাড়ির কার্নিশ বাড়ান্দাসহ সব জায়গা মিলে  ৭৩টি মৌচাক বসেছে। আর এই মৌমাছি দেখতে মানুষ ভিড় জমায় বাড়িতে। প্রতিমাসে মধু সংগ্রহ হচ্ছে দুই মণ।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ, পাবনার উপপরিচালক আব্দুল কাদের বলেন, প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন গাছে এবং বাড়িতে মৌমাছি বসতে আকৃষ্ট হয়। তবে দালান বাড়িতে বসার কারণ জানতে গবেষণা চলছে। 

আরও পড়ুন

×