ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ

যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ

 মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ০৪:৩৮

রংপুরের মিঠাপুকুরে যৌতুকের দাবিতে ইতিমনি (২১) নামের এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন। ইতিমনি উপজেলার ইমাদপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর দিগর জগৎপাড়া গ্রামের আনারুল ইসলামের মেয়ে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, প্রায় ৫ বছর আগে দুর্গাপুর ইউনিয়নের চিথলী রামপুরা গ্রামের মৃত. আবদুর রউফ সরকারের ছেলে রুবেল আহম্মেদের (২৭) সাথে ইতিমনির বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নগদ দেড় লাখ টাকা ও আসবাবপত্রসহ প্রায় দুই লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে মেয়ে জামাইকে দেন ওই গৃহবধূর পরিবার। বিয়ের পর ইতিমনিকে ঢাকায় নিয়ে যান রুবেল। সেখানে তারা একটি পোশাক তৈরির কারখানায় কাজ নেন। ওই দম্পতির ঘরে আড়াই মাসের এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি রুবেল গ্রামের বাড়িতে জমি কেনার জন্য বাবার বাড়ি থেকে আরও দুই লাখ টাকা নিয়ে আসতে ইতিমনিকে চাপ দেন। কিন্তু, ভুক্তভোগী তা আনতে অস্বীকার করায় ক্ষিপ্ত হয়ে রুবেল তার স্ত্রীকে মারধর করতে শুরু করেন। এরই মধ্যে স্বামীসহ গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন ইতিমনি। সেখানে দুই লাখ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ অব্যাহত রাখেন রুবেল। এক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে গ্রাম্য সালিশ বসে। কিন্তু সেখানেও বিষয়টির কোনো সুরাহা হয়নি। পরে ইতির স্বামী, শাশুড়ি, ননদসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওই গৃহবধূকে শারীরিক নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে ইতির শিশু সন্তানকে আটকে রেখে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনায় মিঠাপুকুর থানায় একটি অভিযোগ দেন ওই নারী। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।
    
ইতিমনির অভিযোগ, রুবেল একজন প্রতারক। প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন করে তাকে বিয়ে করে রুবেল। পরে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন। তিনি জানান, তার দরিদ্র বাবা- মা অনেক কষ্ট করে নগদ দেড় লাখ টাকা ও ৫০ হাজার টাকার ঘরের আসবাবপত্র কিনে দেন। কিন্তু, এরপরও সে আরও দুই লাখ টাকা দাবি করে। সেটা না দেওয়ায় নির্যাতন করে। এরই মধ্যে তিনি জানতে পারেন, রুবেল প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আরও দুইটি বিয়ে করেছে।
    
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুজ্জামান বলেন, আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্ত করা হবে। তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

×