'অ্যাম্বুলেন্স পারাপারে' চালু করা ফেরিতেই গাদাগাদি করে পদ্মা পাড়ি

অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি কিছু যানবাহন পারাপারের জন্য তিনটি ফেরি চালু করা হলে তাতে গাদাগাদি করে উঠে পড়ে হাজারো মানুষ - সমকাল
কাজী সাব্বির আহমেদ দীপু, মুন্সীগঞ্জ
প্রকাশ: ০৮ মে ২০২১ | ০৩:০৫ | আপডেট: ০৮ মে ২০২১ | ০৩:১৫
দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা থাকলেও শনিবার নতুন কোনো ঘোষণা ছাড়াই শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে তিনটি ফেরি চালু করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ বলছে, অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি কয়েকটি যানবাহন পারাপারের জন্যই শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে তিনটি ফেরি চালু করা হয়েছে। তবে এই তিন ফেরিতেই হাজারো মানুষকে গাদাগাদি করে পদ্মা পাড়ি দিতে দেখা গেছে।
জানা যায়, শনিবার সকাল ১০টার দিকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজলার শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যায় ফেরি কুঞ্জলতা।এতে রোগী ও লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে ছিল বিপুল সংখ্যক যাত্রী। এ ছাড়া বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রো রো ফেরি এনায়েতপুরী এবং ১৫ মিনিট পরে রো রো ফেরি শাহপরান ছেড়ে যায়। এ দু'টি ফেরিতেও অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি যানবাহনের পাশাপাশি শত শত মানুষ গাদাগাদি করে নদী পাড়ি দেয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভোর থেকেই দক্ষিণবঙ্গের ঘুরমুখো যাত্রীরা শিমুলিয়াঘাটে ভিড় করতে থাকেন। তবে ভোর থেকেই ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন তারা। এদের মধ্যে অনেকে ঢাকায় ফিরে যেতে বাধ্য হলেও অনেকেই আবার ঘাটেই অবস্থান করতে থাকেন। এ অবস্থায় সকাল ৯টার দিক ফেরি কুঞ্জলতা অ্যাম্বুলেন্স বোঝাই করে বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশ্য রওনা হওয়ার প্রস্তুতি নিলে তাতে শত শত যাত্রী উঠে পড়েন। এরপর বেলা সাড়ে ১২টার দিকেও রো রো ফেরি এনায়েতপুরীতে ঘরমুখো যাত্রীদের গাদাগাদি করে অবস্থান করতে দেখা গেছে। মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যবধানে রো রো ফেরি শাহপরান ছেড়ে গেলে তাতেও শত শত যাত্রীর উপস্থিতি দেখা যায়।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়াঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ নিষেধাজ্ঞা সত্বেও ফেরি ছেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, বেশ কিছু লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স ছিল। তাছাড়া জরুরি কয়েকটি যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় ঘাটে অবস্থান করছিল। সেগুলো পারাপারের জন্যই ফেরি ছাড়া হয়েছে। এর মধ্যে ঘরমুখো দক্ষিবঙ্গের যাত্রীদের চাপ ছিল ঘাটে। সড়কে তো কেউ যাত্রীদর আটকাচ্ছে না। কাজেই ঘরমুখো মানুষ শিমুলিয়াঘাটে আসছেই। অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে যাত্রীরা ফেরিতে উঠলে তাদের আটকে রাখা যায় না। কাজেই লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে ফেরিতে অসংখ্য যাত্রী উঠে পদ্মা পাড়ি দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা হয়েছে। এরপর কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে শুধুমাত্র লাশ ও রোগীভর্তি অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের জন্য ফেরি চলবে।