ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

বখাটেদের অত্যাচার সইতে না পেরে আত্মহত্যা কিশোরীর

বখাটেদের অত্যাচার সইতে না পেরে আত্মহত্যা কিশোরীর

কুলসুম খাতুন

শৈলকূপা (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২১ | ০৮:৩৮ | আপডেট: ০৪ জুন ২০২১ | ০৯:০০

ঝিনাইদহের শৈলকূপায় বখাটেদের অত্যাচার সইতে না পেরে কুলসুম খাতুন (১৭) নামে এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ছোট ধলহরা গ্রামের আক্তার শেখের মেয়ে কুলসুম গত ১৮ মে রাতে বিষপান করে। গত বুধবার রাতে শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেপে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বরিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল সে।

কুলসুমের বাবা আক্তার শেখ বলেন, মেয়েকে গ্রামে দাদা-দাদির কাছে রেখে তিনি ও তার স্ত্রী চট্টগ্রামে থাকেন। সেখানে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। ২৮ মে রাত ১২টার দিকে তার দাদি আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সুযোগে একই গ্রামের প্রতিবেশী সাকামত মল্লিকের ছেলে মিন্টু মল্লিক, মোস্তফা মোল্যার ছেলে কিবরিয়া ও মজনু শিকদারের ছেলে রাজন শিকদার বাড়িতে এসে কুলসুমকে লাঞ্ছিত করে। তখন কুলসুমের দাদা মকবুল শেখ প্রতিবাদ করলে তাকে হত্যার হুমকি দেয় বখাটেরা। এ কথা বখাটেদের পরিবারকে জানালে শনিবার সকালে তারা আবারও কুলসুমকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। এতে লজ্জায়-অপমানে কুলসুম বিষপান করে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতের মধ্যেই থানায় অভিযোগ দেবেন বলে আক্তার শেখ জানান।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেপের আবাসিক মেডিকেল অফিসার একেএম সুজায়েত হোসেন জানান, ওই কিশোরী পোকামাকড় ও ঘাস মারার বিষ পান করেছিল। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেপে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে তার মৃত্যু হয়।

বরিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাবুবুর রহমান বলেন, তার বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল কুলসুমের।

তবে অভিযুক্ত মিন্টুর মা আলেয়া খাতুন ও কিবরিয়ার বাবা মোস্তফা দাবি করেন, তাদের সন্তানরা নির্দোষ। উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাতে তাদের দোষারোপ করা হচ্ছে। অভিযুক্ত রাজনের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।

শৈলকূপা থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কুলসুমের মৃত্যুর ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

×