ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

৯৯৯ এ ফোন দিয়ে প্রাণে বাঁচলেন অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ

৯৯৯ এ ফোন দিয়ে প্রাণে বাঁচলেন অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ

পলাশ (নরসিংদী)প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২১ | ০৬:০০ | আপডেট: ০৯ জুন ২০২১ | ০৬:০২

নরসিংদীর পলাশে স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। জরুরি সেবা নম্বর-৯৯৯ এ ফোন দিয়ে প্রাণে বাঁচলেন তিনি। সোমবার রাতে ফোন পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার রাতে পলাশ থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়।

নির্যাতিত ওই গৃহবধূর নাম সাবরিনা শাজাহান (৩২। তিনি জেলার বাঞ্চারামপুর উপজেলার বড়কান্দি গ্রামের আবদুল আজিজ মিয়ার ছেলে নজরুল ইসলামের স্ত্রী।

থানায় অভিযোগ সূত্রে ও নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ সাবরিনার সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ১১ বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় নজরুল ইসলামের সাথে তার পরিচয় হয। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয় এবং তারা বিয়ে করেন। বিবাহিত জীবনে সাবরিনা-নজরুল দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বর্তমানে তিনি ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

লিখিত ওই অভিযোগে আরো জানা যায়, বিয়ের পর থেকেই নজরুল ইসলাম বিভিন্ন কৌশলে সাবরিনার পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা এনে দিতে বাধ্য করে। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে সাবরিনার পরিবারও একাধিকবার নজরুল ইসলামের চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিয়েছে। গত বছর ফের নজরুল টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে সাবরিনা তার ফুফু লুৎফুর নাহারের হাতে পায়ে ধরে ৬ লাখ টাকা এনে দেয়। কিন্তু এতেও মন ভরেনি নজরুলের। পরিবারের কাছ থেকে আবারও ১০ লাখ টাকা এনে দেওয়ার জন্য প্রায় ৫ মাস ধরে সাবরিনার ওপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকে নজরুল। কিন্তু তার দাবিকৃত ১০ লাখ টাকা এনে দিতে অস্বীকৃতি জানাতেই অন্তঃসত্ত্বা সাবরিনার ওপর শুরু হয় অমানবিক নির্যাতন। সর্বশেষ সোমবার রাতে দাবিকৃত টাকা নিয়ে আসার জন্য নজরুল তার স্ত্রী সাবরিনার ওপর অমানবিক নির্যাতন শুরু করেন। এ সময় সাবরিনা প্রাণ বাঁচাতে ৯৯৯ এ কল দেন। পরে পুলিশ গিয়ে সাবরিনাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। এসময় অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. নাসির উদ্দীন জানান, ৯৯৯ থেকে কল আসার পর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গৃহবধূ সাবরিনা শাহাজানকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। এসময় অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম পালিয়ে যান। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

আরও পড়ুন

×