ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

ওসমানীতে টিকার চেয়ে গ্রহীতা বেশি, ৩ ঘণ্টা পর টিকা দেওয়া বন্ধ

ওসমানীতে টিকার চেয়ে গ্রহীতা বেশি, ৩ ঘণ্টা পর টিকা দেওয়া বন্ধ

সিলেট ব্যুরো

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২১ | ১০:৫১

সিলেটে করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার জন্য আগ্রহ বেড়েছে সাধারণ মানুষের। ফলে টিকাদান কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। মঙ্গলবার ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কেন্দ্রে মাত্র তিন ঘণ্টায় শেষ হয়ে যায় দৈনিক বরাদ্দের টিকা। সকাল থেকে শত শত টিকা গ্রহীতার উপস্থিতিতে কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত থাকে। 

আগের দিন সোমবারও দুপুর ১২টার মধ্যে ওসমানীতে দৈনিক বরাদ্দের টিকা শেষ হয়ে গিয়েছিল। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মোবাইল ফোনে পাওয়া মেসেজ ছাড়া কাউকে টিকা দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম।

মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ওসমানী হাসপাতাল কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রতিদিনের মতো সকাল ৮টায় শুরু হলেও তিন ঘণ্টার মধ্যে এক হাজার দুইশ টিকা শেষ হয়ে যায়। যদিও যথারীতি টিকা গ্রহণের জন্য ছয়শ জনকে মোবাইলে মেসেজ দেওয়া হয়েছিল। 

সরেজমিনে ওসমানী হাসপাতালের টিকাকেন্দ্রের সামনে দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। টিকাকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়ার সময়ও লাইনে শত শত মানুষ অপেক্ষায় ছিলেন। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়েও টিকা না পেয়ে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সকালের দিকে মেসেজ ছাড়া অনেকে এসে টিকা নিয়ে চলে যান। গত দু'দিন মেসেজ পেয়েও অনেকে টিকা পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মানুষের উপস্থিতির ফলে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। আবার টিকা গ্রহীতাদের কেউ কেউ স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরেও আসছেন না। কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচির সঙ্গে সম্পৃক্ত রেড ক্রিসেন্টের একজন স্বেচ্ছাসেবক বলেন, এখানে মানুষ টিকা নিতে এসেছে নাকি করোনাভাইরাস সঙ্গে করে বাসায় নিয়ে যেতে এসেছে, বলা যাচ্ছে না। হাসপাতালে টিকাদান শুরুর আগে থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন তারা। হাজারও মানুষের ভিড়ে কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। একজনের গা ঘেঁষে আরেকজন দাঁড়িয়ে আছেন। অনেকের মুখে মাস্ক পর্যন্ত নেই।

নগরীতে টিকাদান কর্মসূচির সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, নিবন্ধন করে মেসেজ নিয়ে নির্দিষ্ট দিনে টিকাকেন্দ্রে এলে ভিড় কম হবে। অনেক নিবন্ধনকারী মেসেজ না পেয়েও কেন্দ্রে ভিড় করছেন। এ ছাড়া অনেকে নির্দিষ্ট দিনে না এসে পরে আসছেন। 

তিনি বলেন, প্রতিদিন ছয়শ' জনকে মেসেজ দেওয়া হয়। তবে কেন্দ্রে টিকা গ্রহীতার সংখ্যা থাকছে দুই হাজারের ওপরে। এভাবে কেন্দ্রে ভিড় না করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় টিকার পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। ৩০ বছরের বেশি সব নাগরিক টিকা নিতে পারবেন। নির্দিষ্ট দিনে এলে অনায়াসে টিকা নেওয়া যাবে।

সিলেট নগরীতে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে।


আরও পড়ুন

×