এলাকাবাসীর তোপে আবরারের বাড়িতে ঢুকতে পারলেন না বুয়েট ভিসি

ছবি: সমকাল
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:২৩ | আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৯ | ১০:৫৩
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতনে নিহত শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাড়িতে ঢোকার মুখে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েন বুয়েট ভিসি অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম। এক পর্যায়ে বুধবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামের ওই বাড়ির সামনে থেকে পুলিশ ও র্যাব সদস্যের পাহারায় দ্রুত তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
এ সময় হাজারো নারী-পুরুষ একত্রিত হয়ে বুয়েট ভিসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন। অবস্থা বেগতিক দেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাহারায় মাইক্রোবাসে করে দ্রুত সেখান থেকে সরে পড়েন তিনি।
এ সময় এলাকাবাসী ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় দু'জন আহত হন। এক পর্যায়ে এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও সেখান থেকে চলে যান।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা কবরস্থানে আবরারের কবর জিয়ারত করেন বুয়েট ভিসি। এ সময় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ সেখানে ছিলেন।

কবর জিয়ারতের পর সাংবাদিকরা ভিসি অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামকে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করেন। তিনি পদত্যাগ করবেন কি-না এ প্রশ্নের জবাবে বুয়েট ভিসি বলেন, এখন পদত্যাগের বিষয়ে কথা বলতে চাই না। আমি বুয়েট শিক্ষার্থীদের সবগুলো দাবির সঙ্গে একমত। এগুলো নিয়ে কাজ করছি।
আবরার হত্যার প্রায় ৪০ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের সামনে আসা ও আবরারের জানাজায় অংশ না নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। এরপর এলাকাবাসী বিক্ষোভ শুরু করে।
ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসের জেরে আবরার ফাহাদকে রোববাররাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর তাকে শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে কয়েক ঘণ্টা ধরে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার ৪০ ঘণ্টা পর আন্দোলন ও আল্টিমেটামের মুখে শিক্ষার্থীদের সামনে আসেন বুয়েট ভিসি।
- বিষয় :
- আবরার হত্যা
- বুয়েট
- বুয়েট ভিসি