কুমিল্লায় প্রেমিকের হাতে খুন হলেন নারী

র্যাবের সঙ্গে অভিযুক্ত কানু মিয়া। ছবি: র্যাবের সৌজন্যে
কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২১ | ০৮:৫১ | আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২১ | ০৮:৫১
কুমিল্লায় প্রেমের ঘটনায় আনোয়ারা নামে এক গৃহবধূ প্রেমিকের হাতে খুন হয়েছেন। ওই গৃহবধূর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই র্যাব হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর ঘাতক প্রেমিক কোতোয়ালি থানার ধনপুর গ্রামের কাঠমিস্ত্রি কানু মিয়াকে র্যাব সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে।
র্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লা কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কোম্পানি অধিনায়ক মেজর সাকিব হোসেন। হত্যার শিকার গৃহবধূ আনোয়ারা বেগম সদর দক্ষিণ উপজেলার শাকতলা এলাকার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী।
র্যাব জানায়, প্রথম স্বামী আবুল খায়েরের মৃত্যুর পর আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে আনোয়ারা বেগমের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। এরই মধ্যে সেকান্দর আলীর ছেলে কাঠমিস্ত্রি কানু মিয়ার সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কানু মিয়া গোপনে তাকে ভরণপোষণ দিতে থাকে। একই সঙ্গে গোপনে আরও একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে আনোয়ারার ঘনিষ্ঠতা বাড়লে কানু তা জানতে পারে। ১৬ অক্টোবর আনোয়ারা বেগম কোটবাড়ি সড়কে মঠপুস্করনি এলাকায় কানু মিয়ার ফার্নিচারের দোকানে গিয়ে টাকা-পয়সা চাইলে অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার কারণে ক্ষিপ্ত হন কানু। তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কানু ফার্নিচার তৈরির বাটাল দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে আনোয়ারাকে হত্যা করে লাশ কম্বল পেঁচিয়ে বস্তাভর্তি করে দোকানে লুকিয়ে রাখে। পরে সুযোগ বুঝে ওই রাতে গাড়িতে আনোয়ারার লাশ ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে দাউদকান্দি উপজেলার মালিখিল গ্রামের একটি পুকুরে ফেলে পালিয়ে যায়।
র্যাব অধিনায়ক মেজর সাকিব হোসেন জানান, দাউদকান্দি থানা পুলিশ পরদিন ১৭ অক্টোবর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেলে তার প্রথম পক্ষের ছেলে বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বিষয়টি র্যাবের নজরে এলে আনোয়ারার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে র্যাব কানু মিয়াকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করে কানু। তার ঘর থেকে আনোয়ারার মোবাইল ফোন ও হত্যায় ব্যবহূত ধারালো বাটালটি উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।