কেন্দুয়ায় দু'পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০, পুলিশের ফাঁকা গুলি

প্রতীকী ছবি
কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২১ | ০৯:২০ | আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২১ | ০৯:২০
কেন্দুয়ার নওপাড়া ইউনিয়নের জুড়াইল গ্রামে দু'পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। জুড়াইল গ্রামের পাশে অবস্থিত বগাজান বিলে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে শনিবার বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রামের পাশের পাকা রাস্তায় ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে নারী-শিশুও রয়েছেন। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শাহজাহান, আবু ছালেক, শিপন, সাইমুন, হাবিব, আহম্মদ ও সাহাবুলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া আহত জয়নব আক্তার, মিনা আক্তার, আশরাফুল (১২), হিরণ, রাজন (১৫), আলী উসমান, নাজমা, টিটু, নাইম (১৬), ফরিদ, সম্পদ, সোনা মিয়া, আকিরুল, স্বর্ণ মিয়া ও পপি আক্তারকে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জুড়াইল গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আব্দুল জব্বারের ছেলে আশরাফুল আলম নান্টু জানান, তার বাবা ও প্রতিবেশী উমর ফারুক ছোটনের নামে ওই বিলে সরকারি খাসজমি বন্দোবস্ত নেওয়া আছে। সেই জমিতে দেওয়া পাগার থেকে প্রতিপক্ষের লোকজন তিন-চার দিন আগে জোর করে মাছ ধরে নিয়ে যায়। এ নিয়ে উত্তেজনা চলছিল। শনিবার ছোটনের ছেলে জোনাইদ বিলে গিয়ে প্রতিপক্ষের লোকদের কাছে পাগার থেকে মাছ ধরার কারণ জানতে চাইলে তারা জোনাইদকে আটকে রেখে মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এ খবর পেয়ে জোনাইদের স্বজনরা বিলের দিকে ছুটে যেতে থাকলে জুড়াইল পাকা সড়কের ওপর প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালায়। এ সময় দু'পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধে।
খবর পেয়ে কেন্দুয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জোনাঈদ আফ্রাদ ও কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ জানান, সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পুলিশকে ১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়তে হয়েছে। আহতদের স্বজনরা উদ্ধার করে কেন্দুয়া ও অন্যান্য হাসপাতালে নিয়ে গেছেন।
এদিকে গ্রামবাসীর পক্ষে সিদ্দিকুর রহমান জানান, এই বিলটিকে মুক্ত জলাশয় হিসেবে ঘোষণার দাবিতে প্রায় দুই মাস আগে জুড়াইল বাজারে বিক্ষোভ সমাবেশ করে গ্রামবাসী।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, বগাজান বিলটির জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে কিছু ব্যক্তি তাদের নামে বিলটি বন্দোবস্ত ও দখলে নিয়ে গ্রামবাসীকে ঠকিয়ে মাছ ধরছিল। বামনখালী খাল, বগাজান বিল ও সুতি সাইডুলি নদীতে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ইতোমধ্যে তিন দিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অবৈধ জাল ও অন্যান্য সামগ্রী আটক করা হয়।
- বিষয় :
- দু'পক্ষের সংঘর্ষ
- পুলিশের ফাঁকা গুলি
- আহত