বিএনপি নেতা আলতাফ চৌধুরীর বাসায় হামলা

চেয়ার-টেবিলসহ যাবতীয় আসবাব ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা- সমকাল
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২০ | ০৯:৫৯ | আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২০ | ১০:০২
পটুয়াখালীতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরীর বাসায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সন্ত্রাসীরা বাসার প্রধান গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকে এবং চেয়ার-টেবিলসহ যাবতীয় আসবাব ও জানালার কাচ ভাঙচুর করে। তারা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানের ছবিও ভাঙচুর করে।
এ হামলার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে জেলা বিএনপির নেতারা। অপরদিকে জেলা ছাত্রলীগের নেতারা বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে ওই হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন।
জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়াহিদ সরোয়ার কালাম বলেন, বছরের প্রথম দিনেই সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীর বাসায় ফের হামলা হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে শতাধিক সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালায় এবং ব্যাপক ভাঙচুর করে। সন্ত্রাসীরা বাসভবনের ভেতর ঘণ্টাখানেক তাণ্ডব চালায়।
তিনি আরও বলেন, হামলার সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া শহরের আদালত পাড়া এলাকায় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানেও হামলা-ভাঙচুর হয়েছে। সেখানে যুবদলের সভাপতিসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। হামলার বিষয়টি পুলিশকে জানানোর পরও তারা একবার দেখতেও আসেনি। এই নিন্দনীয় কাজের নিন্দা জানানোর ভাষাও আমাদের জানা নেই।
আলতাফ হোসেন চৌধুরী অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর একাধিকবার আমার বাসায় হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে। কখনও ছাত্রলীগ করেছে, কখনও যুবলীগ। এটা কোনো গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চর্চা হতে পারে না। এ ধরনের কর্মকাণ্ড পরিহার করার আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক এই মন্ত্রী।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ভূঁইয়া বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বিএনপির দুই গ্রুপের দীর্ঘদিনের কোন্দলের জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে সৃষ্ট ঘটনা ছাত্রলীগের ওপর চাপিয়ে দেওয়া গণতান্ত্রিক রাজনীতির রীতিনীতির মধ্যে পড়ে না। অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর রাজনৈতিক চর্চা পরিহার করতে বিএনপি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের এই দুই শীর্ষ নেতা।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কারা এ হামলা ও
ভাঙচুর করেছে তা এখনও শনাক্ত করা যায়নি। তবে শোনা যাচ্ছে ছাত্রদলের
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনের
জন্য কাজ চলছে।