রায়হান হত্যা: আসামির অনুপস্থিতিতে বিচার শুরুতে বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ

নিহত রায়হান আহমদ
সিলেট ব্যুরো
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২১ | ০৩:১৯ | আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২১ | ০৩:১৯
সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশ হেফাজতে রায়হান আহমদ হত্যা মামলার পলাতক আসামি আব্দুল্লাহ আল নোমানের অনুপস্থিতিতে বিচার শুরু হবে। এজন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আমিরুল ইসলাম। বুধবার চাঞ্চল্যকর এই মামলার ধার্য তারিখে অপর পাঁচ আসামির উপস্থিতিতে শুনানি শেষে আদালত এই নির্দেশ দেন। এদিন সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই (বরখাস্তকৃত) আকবর হোসেনসহ পাঁচ আসামিকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবুল ফজল বলেন, আদালতের নির্দেশে পুলিশ পলাতক আসামি নোমানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কোনো মালামাল পায়নি। এ অবস্থায় তার অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
তিনি জানান, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর আদালতের বিচারক শুনানি শেষে রায়হান হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। পাশাপাশি পলাতক আসামি নোমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এ মামলায় ছয় আসামির মধ্যে নোমান ছাড়া সবাই কারাগারে আছেন।
এসআই আকবর ও নোমান ছাড়া মামলার অপর আসামিরা হলেন, এএসআই আশেক এলাহি, কনস্টেবল মো. হারুণ অর রশিদ, টিটু চন্দ্র দাস, ফাঁড়ির টু-আইসি এসআই মো. হাসান উদ্দিন। এই মামলায় গ্রেপ্তারের পর পুলিশ সদস্যদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
গত ৫ ডিসেম্বর পলাতক নোমানের মালামাল ক্রোকের বিষয়ে পরোয়ানার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। সেদিন ক্রোক পরোয়ানা তামিল হয়ে না আসায় আদালত ২২ ডিসেম্বর শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন। অবশেষে নোমানের অনুপস্থিতিতে বিচার কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আদালতের বিচারক।
২০২০ সালের ১১ অক্টোবর ভোরে নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার যুবক রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ধরে এনে নির্যাতন করা হয়। গুরুতর অবস্থায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। গত ৫ মে এসআই আকবর হোসেনকে প্রধান আসামি করে আদালতে ছয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পিবিআই।