‘বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ’, কুড়িগ্রামের এসআইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২২ | ০৮:১০ | আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২২ | ০৮:১৩
বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে কুড়িগ্রাম সদর থানার এসআই আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। জলিল পঞ্চগড় সদর থানার এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
রোববার দুপুরে পঞ্চগড়ের নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এই পরোয়ানা জারি করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন এক নারী। সেই ডায়েরির তদন্ত করতে গিয়ে তৎকালীন পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল জলিল বিধবা ওই নারীর সঙ্গে ‘প্রেমের সম্পর্ক’ গড়ে তোলেন। এরপর তিনি ভুয়া কাবিননামার করিয়ে নিয়ে ওই নারীর সঙ্গে ‘শারীরিক সম্পর্ক’ গড়ে তোলেন।
একসময় বিবাহের কাবিননামা চাইতে গেলে জলিল বিবাহের কথা অস্বীকার করেন।
পরে ভুক্তভোগী নারী ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর পঞ্চগড় নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেন।
গত ২০ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। রোববার (২৩ জানুয়ারি) আদালত মামলাটি আমলে নেন এবং ওই উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবি মেহেদি হাসান মিলন সমকালকে বলেন, ‘ওই নারীর সঙ্গে একাধিকবার শারিরীক সম্পর্কের পর এসআই জলিল সুকৌশলে কুড়িগ্রামে বদলী হয়। পরে আর আসমা প্রধানের খোঁজ রাখেন না। এরপরই আসমা নারী শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা করেন।’
নারী শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আজিজার রহমান আজু জানান, ভুক্তভোগী নারী আদালতে মামলা দাখিলের পর বিচারক অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্ট্রেটকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। এরপর প্রাপ্ত অনুসন্ধানের ভিত্তিতে প্রতিবেদন দাখিলের পর মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।