ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

এক ভবনে ৭০ মৌচাক!

এক ভবনে ৭০ মৌচাক!

নকলার চন্দ্রকোনা কলেজ ভবনে মৌচাক। ছবি: সংগৃহীত

শেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ০৫:৪৪ | আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ০৭:০৩

এক ভবনেই ৭০ মৌচাক! চারতলা সেই ভবনের ছাদ, জানালার কার্নিশে চাক বাঁধা মৌমাছিগুলো বন মৌমাছি। এমন অদ্ভুদ ঘটনা ঘটেছে শেরপুরের নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা কলেজের ভবনে। ৭০টি চাকের খবর জানাজানি হওয়ার পর উৎসুক অনেকেই তা দেখতে ভবনের সামনে ভিড় করছেন।

চন্দ্রকোনা কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক জয়ন্ত কুমার দেব বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু থাকার সময়ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে পাঠ কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন। কাউকে মৌমাছি কামড়ানোর কথা শোনা যায়নি।

চন্দ্রকোনার মৌচাষি ফয়েজুর রহমান বলেন, কলেজ ভবনে চাক করা মৌমাছিগুলো ডাচ জাতের বন মৌমাছি। এরা সংঘবদ্ধভাবে এক জায়গায় থাকতে ভালোবাসে। চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকায় শর্ষে আবাদ করা হয়েছে। এসব খেতের শর্ষে ফুল থেকে মধু আহরণ সহজ উৎস হওয়ায় মৌমাছিগুলো কলেজের এ ভবনটিতে বাসা বেঁধেছে।


চন্দ্রকোনা কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, চার বছর ধরে শীত মৌসুমে কলেজের চারতলা ভবনে মৌমাছি চাক বাঁধছে। প্রথম দিকে অল্পসংখ্যক চাক ছিল। তবে এ বছর মৌমাছির দল ৭০ থেকে ৭৫টি চাক বেঁধেছে। সাধারণত মধ্য ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কলেজ ভবনে মৌমাছির দল চাক বেঁধে অবস্থান করে। চলতি মৌসুমে এসব চাক মৌয়ালদের কাছে ৫২ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল ওয়াদুদ বলেন, নকলার আবহাওয়া শর্ষে চাষের জন্য বেশ উপযোগী। চলতি রবি মৌসুমে উপজেলার ২ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে শর্ষের আবাদ হয়েছে। তাই শীত মৌসুমে নকলার চরাঞ্চলে মৌমাছি চাক করে থাকে। মৌমাছি মধু আহরণ করায় সহজে পরাগায়ণ ঘটে। ফলে শর্ষের উৎপাদন অনেক বেশি হয়।

আরও পড়ুন

×