‘আবরার ফাহাদকে নিয়ে ভাবলেই চোখে জল এসে যায়’

আবরার ফাহাদ- ফাইল ছবি
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ২১:০৩ | আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ২১:০৩
'আবরার ফাহাদ জীবিত থাকতে জন্মদিনে বাড়িতে বড় কোনো আয়োজন না হলেও ওর পছন্দের খাবার রান্না করা হতো। দুই ভাই একসঙ্গে খেত সেসব খাবার। ছোট ভাই আবরার ফায়াজকে খুব স্নেহ করত আবরার ফাহাদ। তবে সেসব স্মৃতি এখন অতীত। ভাবলেই চোখে জল এসে যায়। বাড়ির সবাই কষ্ট পায়।' শনিবার বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের জন্মদিন নিয়ে মোবাইল ফোনে কথা হলে তার মা রোকেয়া খাতুন এভাবে স্মৃতিচারণ করেন। বাবা বরকতুল্লাহ বলেন, ছোট ছেলেও ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তির পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বড় ভাইয়ের জন্মদিনে আবরার ফায়াজও স্মৃতিচারণ করেন। তিনি ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি লেখেন, 'আজ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২। ভাইয়ার ২৪তম জন্মদিন। বেঁচে থাকলে আজ ২৫ বছরে পা দিত। কিন্তু দুই বছর চার মাস হলো ভাইয়া আর আমাদের মাঝে নেই। আমি কখনও দেখিনি, আমাদের বাসায় ভাইয়ার জন্মদিন সেভাবে পালন করা হয়েছে। আব্বু থাকত না, আম্মু একাই আমাদের নিয়ে থাকতেন। স্পেশাল কিছু রান্না করতেন, আর এতেই দিনটা চলে যেত। ভাইয়াকে হয়তো দুয়েকবার উইশ করেছি। এর বেশি আর কিছু না। কিন্তু এখন এই দিনটাকে ঘিরে যে তীব্র শূন্যতা অনুভব হয়, সেটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
আবরারের মা রোকেয়া খাতুন বলেন, আবরারের মামলার রায় হয়েছে কিছুদিন আগে। এসব নিয়ে আমরা সব সময় চিন্তায় থাকি। মন থেকে কখনও ছেলেকে ভুলতে পারি না। ওর নানা স্মৃতি ঘুরেফিরে মনে আসে।
বাবা বরকতুল্লাহ বলেন, এখন আর জন্মদিন নিয়ে ভেবে কী হবে? ছেলেকে হারিয়ে আমাদের আর ওসব নিয়ে ভেবে কষ্টই বাড়ে শুধু। ছোট ছেলের স্ট্যাটাসটি তিনি দেখেছেন বলেও জানান। ওরা ঢাকায়, ফোনে কথা হয়েছে।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে আবরার ফাহাদকে তার কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যান শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। তারা ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করেন। পরে রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।