ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

বাগেরহাটে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

বাগেরহাটে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট

প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ০০:৫১ | আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ০১:০৪

বাগেরহাটের কচুয়ায় অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে (১৪) সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ওই কিশোরী কচুয়া উপজেলার মসনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় ধর্ষকদের আটক করতে অভিযান শুরু করেছে কচুয়া থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাতে বাবা-মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে কলমিবুনিয়া গ্রামে ওই শিক্ষার্থীর ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে স্থানীয় চার বখাটে তাকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় শুক্রবার রাতে ওই শিক্ষার্থীকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে তার পরিবার। 

কিশোরী বলেন, বুধবার বাবা ও মা আমার বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এজাজুল মোল্লা, সোহেল শেখ, টিপু শেখ ও সজিব মোল্লা জোরপূর্বক আমাদের ঘরে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে তারা আমার গলায় ছুড়ি ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে আমাকে ধর্ষণ করেছে। তাদের অত্যাচারে এক পর্যায়ে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, প্রতিবেশীদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে আমরা বাড়িতে আসি। মেয়ের কাছে বিষয়টি শুনে স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় হাসপাতালে নিয়ে আসি। আমি ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।

ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- কাদের মোল্লার ছেলে এজাজুল মোল্লা (২২), আজাহার শেখের ছেলে সোহেল শেখ (২২), ইউসুফ শেখের ছেলে টিপু শেখ (২৫) এবং বারেক মোল্লার ছেলে সজিব মোল্লা (২৫)। তাদের সবার বাড়ি কলমিবুনিয়া গ্রামে।

এর আগেও এলাকার অনেক মেয়ের সাথে তারা খারাপ ব্যবহার করেছে বলে জানান স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম মোল্লা।

তিনি বলেন, বাধাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নকিব ফয়সাল অহিদসহ আমরা সকলে মিলে মেয়েটি হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। আমরা অত্যাচারকারী বখাটেদের কঠোর শাস্তি চাই। 

বাগেরহাট সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সিনিয়র স্টাফ নার্স তুলশী রানী বিশ্বাস বলেন, মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড় ও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধর্ষণের ফলে মেয়েটি খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমরা তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করছি।

বাগেরহাট সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. মো. মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক পরীক্ষায় মেয়েটির শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। আমরা মেয়েটিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করছি।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আছাদুজ্জামান বলেন, খবর শুনে নির্যাতিতা মেয়েটিকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছি। ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের ভয় না পেয়ে মেয়েটির চিকিৎসা চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। অভিযুক্তদের আটক করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন

×