যশোরে প্রস্তাবিত ইপিজেড
জমির ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের দাবি

নওয়াপাড়া (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ১১:২০
যশোরের অভয়নগরে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) জন্য অধিগ্রহণের তালিকায় থাকা জমির ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন মালিকরা। ওই জমিতে থাকা মৎস্য ঘের, ফলদ ও বনজ গাছের ক্ষতিপূরণও চেয়েছেন তারা। এসব বিষয়ে গতকাল রোববার দুপুরে নওয়াপাড়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন জমির মালিকরা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, যশোরে প্রস্তাবিত ইপিজেডের জমি পড়েছে অভয়নগর উপজেলার ধলিয়ার বিলে। এ বিলে থাকা আটটি মৌজা হলো বালিয়াডাঙ্গা, রাজাপুর, আরাজি বাহিরঘাট, চেঙ্গুটিয়া, মহাখাল, মাগুরা, আমডাঙ্গা ও ১১ নম্বর পোমভাগ। তবে অধিগ্রহণের তালিকায় থাকা ৫০২ একর ৬১ শতক জমিতে মৌজাভেদে দামে বৈষম্য দেখা দিয়েছে প্রায় ১৪ হাজার টাকার। ১১ নম্বর পোমভাগ মৌজায় যেখানে জমির মূল্য শতকপ্রতি ২২ হাজার ৮৯১ টাকা; আবার একই বিলের রাজাপুর মৌজায় ৮ হাজার ৬৮৩ টাকা দাম ধরা হয়েছে। এ ছাড়া প্রস্তাবিত দাম ২০১৫-১৬ অর্থবছরের হিসাবে ধরা হয়েছে, যা বর্তমান বাজারমূল্যের চেয়ে তিন-চার ভাগ কম। এ ছাড়া আনুমানিক ২৭৫ একর জমিতে শতাধিক মৎস্য ঘের রয়েছে। অনেকে ঋণ নিয়ে মাছ চাষ করছে। ঘেরপাড়ে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ ও বনজ গাছ। এসব ঘের, বেড়ি ও গাছপালার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। জমির মালিকরা জানান, এসব দাবিতে তারা ৪ জানুয়ারি ও ১৩ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, দেশের উন্নয়নে তারা ইপিজেডের বিপক্ষে নন। তবে বৈধ জমির অধিকার থেকে বঞ্চিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি চান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জমির মালিক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ইউনুস আলী। উপস্থিত ছিলেন জমির মালিক শফি কামাল, কোমল সাহা, পিন্টু গাজী, আবুল হোসেন, শেখর কুমার বর্মণ, রেজওয়ান বিশ্বাস, ইব্রাহিম বিশ্বাস, আলাউদ্দিন মোড়ল, আছর আলী বিশ্বাস, মিঠুন সরদার, শান্তনু কুমার ঘোষ প্রমুখ।
- বিষয় :
- নওয়াপাড়া
- রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল
- ইপিজেড