বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যা দীর্ঘ ষড়যন্ত্রের বাস্তবায়ন

জেলহত্যা দিবসে বঙ্গবন্ধু পরিষদের আলোচনা সভা
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৩ | ১৩:৪৯ | আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৩ | ১৯:৪৯
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জেলখানায় জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ড দীর্ঘদিনের ষড়যন্ত্রের বাস্তবায়ন বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজন। তারা বলেন, যারা এ দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না এবং দেশকে পাকিস্তানের কনফেডারেশন করতে চেয়েছিল, তারাই বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালেই এই ষড়যন্ত্র করে ঘাতকরা। জেলহত্যা দিবস স্মরণে শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক আলোচনা সভায় বিশিষ্টজন এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত এ আলোচনায় ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য হাবিবুর রহমান বলেন, ‘১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশে সুস্থ ধারার রাজনীতি বন্ধ হয়ে যায়। যারা দেশের স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করে না, তারাই জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল দেশকে পাকিস্তানি ধারায় ফিরিয়ে নেওয়া।’
অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংয়ের মতো একটা কমিশন করা প্রয়োজন। এই কমিটি আইনগতভাবে সংসদের মাধ্যমে করা যেতে পারে। কমিটিকে সব ধরনের নথি দেখার অনুমতি দিলে নতুন নতুন ইতিহাস বেরিয়ে আসবে।’
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘অল্প কয়েকজন মিলে বঙ্গবন্ধু এবং জেলহত্যা ঘটিয়েছে। এটা সম্ভব হতো না, যদি ক্যান্টনমেন্ট থেকে তাদের প্রতিহত করা হতো। তাহলে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে খুনিরা নিরাপদে দেশের বাইরে চলে যেতে পারত না।’
সভায় বক্তব্য দেন– তথ্যচিত্র নির্মাতা ফুয়াদ চৌধুরী, বঙ্গবন্ধুর সামরিক সচিব ও পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট নিহত কর্নেল জামিলের মেয়ে আফরোজা জামিল কঙ্কা, বিশিষ্ট চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট শাহাদাত হোসেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ সদস্য পারভেজ জামান প্রমুখ।
- বিষয় :
- বঙ্গবন্ধু পরিষদ