সংবাদ সম্মেলনে বিপিজিএমইএ
বাজেটে প্লাস্টিক খাত উপেক্ষিত হয়েছে

আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বিষয়ে বুধবার রাজধানীতে প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিপিজিএমইএ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা-ফটাে রিলিজ
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৫ | ০৪:৩১
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে প্লাস্টিকের তৈরি টেবিলওয়্যার, কিচেনওয়্যারসহ সব ধরনের গৃহস্থালি পণ্যের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ হয়েছে। এর ফলে এসব পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। এতে দরিদ্র ও মধ্যবিত্তের খরচ বাড়বে। এ পরিস্থিতিতে ভ্যাট কমিয়ে ৫ শতাংশ করা দরকার।
গতকাল বুধবার রাজধানীর পল্টনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিপিজিএমইএর সভাপতি সামিম আহমেদ। এ সময় তিনি বাজেটে অন্তর্ভুক্তির জন্য ১৫টি সংশোধনী প্রস্তাব তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের অন্যান্য নেতা ও এই খাতের উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রস্তাবিত বাজেটে প্লাস্টিক খাতের জন্য করা গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করা হয়নি– এমন অভিযোগ করে সামিম আহমেদ বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে প্লাস্টিক খাত বেশ উপেক্ষিত হয়েছে। প্লাস্টিক খেলনাশিল্প উদীয়মান খাত। এখানে নতুন নতুন কর্মসংস্থান হচ্ছে। অথচ সব মিলিয়ে এ খাতে ৮৭ শতাংশের বেশি শুল্ক-কর রয়েছে। এ ছাড়া এখনও প্লাস্টিক শিল্পের মৌলিক কাঁচামালের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশই আমদানি করতে হয়। এসব কাঁচামালের আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। স্থানীয় শিল্পের বিকাশে এটি কমানো জরুরি। বস্ত্র ও পোশাকসহ কয়েকটি রপ্তানিমুখী শিল্প খাতে যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ ও উপকরণ ইত্যাদি আমদানিতে মূসক, সম্পূরক শুল্ক, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক অব্যাহতির সুবিধা পচ্ছে। প্লাস্টিক খাতকেও এই সুবিধা দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
বিপিজিএমইএ সভাপতি বলেন, দেশে ছয়-সাত হাজার প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনের কারখানা রয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ ও জ্বালানির উচ্চমূল্যের পাশাপাশি সরবরাহ সংকট ও ব্যাংকের উচ্চ সুদহারের গত দেড় বছরে প্রায় ২০ শতাংশ; অর্থাৎ ১২০০ থেকে ১৪০০ কারখানা বন্ধ হয়েছে বা বন্ধের পথে রয়েছে। তবে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো কারখানার নাম বলেননি তিনি।
সামিম আহমেদ বলেন, করোনার মহামারির সময়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে প্লাস্টিক খাত। তখনও অনেক কারখানা বন্ধ হয়েছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণেও পড়তে হয় ক্ষতির মুখে। বর্তমানে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ আবারও শঙ্কা তৈরি করেছে। এলএনজিসহ অন্যান্য কাঁচামাল আমদানির খরচ বাড়বে। এতে আবারও ক্ষতির মুখে পড়বে প্লাস্টিক খাত।
বিদ্যুৎ সংকট পরিস্থিতি তুলে ধরে বিপিজিএমইএর সহসভাপতি এনামুল হক বলেন, গাজীপুর শিল্প এলাকার কারখানাগুলোতে ব্যাপকভাবে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। সেখানে দৈনিক ৮ থেকে ১০ বার বিদ্যুৎ চলে যায়। অথচ আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে একটি মেশিন গরম হতে। গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ছে; কিন্তু নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে না।
- বিষয় :
- অর্থনীতি