এক মিনিট ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি থেকে সরল সরকার
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ফেসবুক পোস্ট

মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ফেসবুক পোস্ট
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৫ | ১৪:৩৯ | আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৫ | ১৫:১৮
‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালায়’ এক মিনিট প্রতীকী ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট কর্মসূচির পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে এ কথা জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
আগের দিন বুধবার ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’ ঘোষণা করেছিল অন্তর্বর্তী সরকার। রাতে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এ অনুষ্ঠানমালার বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে একটি কর্মসূচি হলো ১৮ জুলাই সারা দেশে এক মিনিটের জন্য প্রতীকী ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট। সরকারের বক্তব্য- ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই রাত ৯টায় আন্দোলন ঠেকাতে তৎকালীন সরকার মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিল। সেই সময়কে স্মরণ করতে এই প্রতীকী ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের সিদ্ধান্ত; যা বাস্তবায়ন করবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সরকারের এ সিদ্ধান্তে নানা সমালোচনার জন্ম দেয়। নেটিজেনরা এ ধরনের পরিকল্পনার নিন্দা জানান।
এ নিয়ে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লিখেছেন, ‘জুলাই কোমেরেশন প্রোগ্রামের একটা কর্মসূচি নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা পর্যায় থেকেই দ্বিধা ছিল। একটা মাত্র কর্মসূচি আমরা কয়েকবার কেটেছি, আবার যুক্ত হয়েছে। আমরা অনেকেই একমত ছিলাম ‘এক মিনিট ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট’ গ্রেট আইডিয়া না সম্ভবত। পরে আবার নানা আলোচনায় এটা ঢুকে পড়েছে কর্মসূচিতে। অনেক বড় কর্মসূচি এবং বড় একটা দল কাজ করলে এ রকম দু-একটা ভুল চোখের আড়ালে থেকে যায়। যাই হোক, আমরা কৃতজ্ঞ আপনাদের কাছে, সেই কর্মসূচি নিয়ে আপনাদের মতামত জানানোর জন্য।
‘আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি, আমরা নিজেদের মধ্যে দ্রুত সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি—এক মিনিট প্রতীকী ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি থাকছে না। সংশোধিত স্লাইড শেয়ার করে হয়েছে। এর বাইরে সব কর্মসূচি অপরিবর্তিত থাকছে। লেটস রিকানেক্ট, রিগ্রুপ অ্যান্ড রিগনাইট দ্য ভেরি জুলাই ফায়ার।’
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ১৮ জুলাই এক মিনিটের জন্য ইন্টারনেট বন্ধের কর্মসূচি ঘোষণার ওই পোস্টের ফটোকার্ডে প্রায় এক হাজার জন মন্তব্য করেছেন যার প্রায় সবই নেতিবাচক।
সাবহানাজ রশীদ নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এটা আওয়ামী লীগের সময়কার মতোই তেলবাজি আইডিয়া।’
ইমাম হোসেন আরমান নামের একজন লিখেছেন, ‘এক মিনিট কীভাবে বাংলাদেশ কে এগিয়ে নেওয়া যাবে সেই চিন্তা করেন। আপনাদেরকে এই সব পুরোনো নাটক করার জন্য বসানো হয় নাই।’