ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ

সিন্ডিকেট নিয়ে তোপের মুখে মালয়েশিয়ার মন্ত্রী

সিন্ডিকেট নিয়ে তোপের মুখে মালয়েশিয়ার মন্ত্রী

মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম. সেরাভনন

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২২ | ০৯:২৫ | আপডেট: ১৬ জুন ২০২২ | ০৯:২৭

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে কেবল ২৫টি এজেন্সিকে কাজ করতে দেওয়ার বিষয় নিয়ে চাপের মুখে আছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী। এ নিয়ে সে দেশে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে। বৃহস্পতিবার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম. সেরাভনন সমালোচক ও বিরোধীদের উদ্দেশে বলেছেন, ঢাকা ও পুত্রাজায়া যৌথভাবে এ ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। খবর মালয়মেইল ডটকমের।

সেরাভনন বলেন, বিদেশে কর্মী পাঠাতে কতটি এজেন্সিকে অনুমোদন দেওয়া হবে, সেটি একেবারেই ওই উৎস দেশের বিশেষ অধিকার। মালয়েশিয়া এরই মধ্যে ১০টি এজেন্সির পরিবর্তে ২৫টির অনুমোদন বিষয়ে সম্মত হয়েছে। কিছুটা হতাশার সুরে তিনি বলেন, 'যখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করি, আমি ২৫টি এজেন্সির বিষয়ে সম্মত হয়েছি। মন্ত্রীরাও ২৫টিতে সম্মতি দেখিয়েছেন। তাই কেন মালয়েশিয়ার এমপিরা এ নিয়ে এত কথা বলছেন?'

সেরাভনন জানান, একটি ব্যবস্থাপনা টিম দেড় হাজার এজেন্সির তথ্য যাচাই করেছে এবং সেখান থেকে দুই দেশের নির্ণায়কের ভিত্তিতে ২৫টিকে নির্বাচন করেছে। তিনি বলেন, 'এটা কোনো এক ব্যক্তি নির্ধারণ করেননি। যদি এটা এক ব্যক্তির বিষয় হতো তাহলে তা এমএসিসিতে (মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন) যেত এবং কেউ একজন কারাগারে যেতেন।'

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে নিয়োজিত ২৫টি এজেন্সিকে একটি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করবে- সম্প্রতি এমন অভিযোগ তোলেন দেশটির এমপি চার্লিস সান্তিয়াগো। এ ছাড়া কর্মী নিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা দুটি গ্রুপও এমন অভিযোগ তুলেছে। তাঁরা এ নিয়ে জবাব দিতে মন্ত্রী সেরাভননের প্রতি আহ্বান জানান। এ প্রেক্ষাপটে মন্ত্রী বলেন, 'হঠাৎ করে তাঁরা বাংলাদেশ থেকে এজেন্টের বিষয়ে বলছেন কেন?'

তিনি বলেন, মালয়েশিয়া ২০০৮ সালের পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না। সে সময় নিয়োগকারী এজেন্সিগুলো মুক্তভাবে কাজ করেছে। তাঁদের ব্যর্থতার কারণে এক লাখের বেশি বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় অসহায়ের মতো ঘোরাফেরা করেছেন। বৈধ কাগজপত্রহীন অভিবাসী কর্মীদের বৈধতা দেওয়াকে 'অত্যন্ত নির্বোধ ধারণা' বলে বর্ণনা করেন তিনি।

আরও পড়ুন

×