দেশে মুসলমান ৯১ শতাংশ, সনাতন ধর্মাবলম্বী ৭ দশমিক ৯৫

প্রতীকী ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২২ | ০৩:৪১ | আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২২ | ০৩:৪১
বহুল প্রতীক্ষিত জনশুমারি ও গৃহগণনার তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। এই শুমারিতে জানা গেছে, দেশে এখন মুসলমানের সংখ্যা ৯১ শতাংশ আর সনাতন ধর্মাবলম্বী ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ২০১১ সালের জনশুমারিতে সনাতন ধর্মাবলম্বী ছিল ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। বৌদ্ধধর্মাবলম্বী ছিল শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ।
২০১১ সালের জনশুমারির চেয়ে এবারের জনশুমারিতে সনাতন ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা কমল দশমিক ৫৯ শতাংশ।
বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেখানে এক অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বিবিএসের প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন।
স্বাধীন দেশে প্রথম জনশুমারি হয় ১৯৭৪ সালে। তখন হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ। এরপর আরও চারটি জনশুমারি হয়েছে। সর্বশেষ ২০১১ সালের জনশুমারিতে দেখা গেছে, দেশের মোট জনসংখ্যার ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ হিন্দু।
বিবিএসের ২০১১ সালের জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রতিবেদনে দেশে হিন্দু জনসংখ্যা কমে যাওয়ার দুটি কারণ উল্লেখ করা হয়। প্রথমত, হিন্দুদের আউট মাইগ্রেশন হচ্ছে, অর্থাৎ হিন্দুরা দেশ ছাড়ছে। দ্বিতীয়ত, হিন্দু জনগোষ্ঠীর মধ্যে মোট প্রজনন হার বা টোটাল ফার্টিলিটি রেট তুলনামূলক কম। অর্থাৎ হিন্দু দম্পতিরা তুলনামূলকভাবে কম সন্তান জন্ম দেন।
প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জনসংখ্যার বার্ষিক গড় বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২২। ২০১১ সালের জনশুমারিতে জনসংখ্যার গড় বৃদ্ধির হার ছিল ১ দশমিক ৩৭। জনসংখ্যার ঘনত্ব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১১৯ জন। ২০১১ সালের শেষ জনশুমারিতে যা ছিল ৯৭৬ জন। সাক্ষরতার হার বেড়ে হয়েছে ৭৪ দশমিক ৬৬। আগের শুমারিতে ছিল ৫১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।