ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে: দুদক চেয়ারম্যান

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে: দুদক চেয়ারম্যান

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২২ | ০৮:৫৪ | আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০২২ | ০৮:৫৪

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ, চারিত্রিক গুণাবলী, দর্শন ও কর্ম অনুসরন করে করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।

বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। দুদক চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে সোমবার ঢাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সভা কক্ষে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক, দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন, মহাপরিচালক, পরিচালকসহ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। দুদক চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট নিহত তার পরিবারের সকল সদস্যের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

দুদক চেয়ারম্যান সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, বাঙ্গালি জাতির প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল অকৃত্তিম ভালোবাসা ও বিশ্বাস। কিন্তু বাঙ্গালি জাতি সেই বিশ্বাস ও ভালোবাসার মর্যাদা রক্ষা করতে পারেনি। পচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর থেকে বঙ্গবন্ধুকে নানাভাবে খাটো করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর তুলনা বঙ্গবন্ধু নিজেই। তার মর্যাদাকে কেউ খাটো করতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাতে হলে তার আদর্শকে লালন করতে হবে, তার চারিত্রিক গুনাবলীকে ধারন ও অনুসরণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে শুধু আলোচনায় সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না।

তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি, শোষণ মুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার শপথ নিতে হবে।

দুদক কমিশনার জহুরুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এখন পর্যন্ত কোন রাষ্ট্রপ্রধানকে হত্যার পর খুনিদের ইনডেমনিটি দেওয়া হয়নি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ক্ষেত্রে এটি হয়েছে। যদিও দেরিতে হলেও সুপ্রিম কোর্ট তা বাতিল করে। এদেশে জঘন্য এই হত্যার বিচার হয়েছে এবং অপরাধীদের সাজা কার্যকর হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে যারা ছিলেন তাদের খুঁজে বের করার জন্য যোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে কমিশন গঠণের আহবান জানান।

দুদক সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র ৫৫ বছর বেঁচে ছিলেন। এর মধ্যে তিনি প্রায় ১৩ বছর জেলে ছিলেন। এ অল্প সময়ে তিনি তার জীবনের ত্যাগ স্বীকার করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছেন। তিনি স্বধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে যার যার পর্যায় থকে দেশের জন্য সঠিকভাবে কাজ করার কথা বলেন।

আলোচনা সভার শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারসহ ১৫ই আগষ্টে নিহত সকল শহীদের বিদেহী আত্মার প্রতি মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল করা হয়।

আরও পড়ুন

×