কুয়েত যেতে চায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটি

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ২৩:৫১
সশস্ত্র বাহিনী দক্ষিণ সুদান সফরের প্রস্তুতি নিলেও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্যরা আগে যেতে চান কুয়েত; পরে দক্ষিণ সুদান ও লেবানন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে একাধিকবার পরিদর্শনে যাওয়া সংসদীয় কমিটির সদস্যরা মনে করেন, কুয়েত সফর তাঁদের 'নৈতিক দায়িত্বের' মধ্যে পড়ে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির ২০ জুলাইয়ের বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। গতকাল বুধবার সংসদ ভবনে কমিটির বৈঠকে এই কার্যবিবরণী অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে কমিটির সভাপতি সুবিদ আলী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অংশ নেন সদস্য- মোতাহার হোসেন, নাসির উদ্দিন, মহিবুবুর রহমান ও নাহিদ ইজাহার খান।
বৈঠকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, জাতিসংঘ মিশনে আহত ও নিহতদের পুনর্বাসনে সরকার অনুমোদিত 'ট্রুপস কস্ট'-এর অবশিষ্ট অংশ এবং শান্তিরক্ষীদের ঝুঁকি বিবেচনায় জাতিসংঘ থেকে পাওয়া অর্থের অংশ দিয়ে 'প্রধানমন্ত্রীর শান্তিরক্ষী কল্যাণ তহবিল' গঠনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কমিটি সংশ্নিষ্টরা জানান, অন্য সব সংসদীয় কমিটির মতোই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সদস্যরাও বিদেশ সফরে যথেষ্ট আগ্রহী। তাঁরা ২০১৭ সালে লেবানন ও কুয়েত এবং ২০১৯ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো পরিদর্শন করেন। এই তিন মিশন পরিদর্শনের আগেও সংসদীয় কমিটির সদস্যরা অন্য শান্তিরক্ষা মিশন পরিদর্শনে গেছেন। কমিটির সদস্যরা দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে ২০১৫ সালে আইভরি কোস্ট (ইউনোসি) এবং কঙ্গো (মোনুসকো) এলাকায় মিশন পরিদর্শন করেন।
এখন একাদশ সংসদের শেষ বছরে আরও তিনটি মিশন পরিদর্শনে যেতে চায় কমিটি। এর মধ্যে সবার আগে তাঁরা যেতে চান কুয়েত।
শান্তিরক্ষা মিশনে যেতে গত বছর থেকে সুপারিশ করে এলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে তা স্থগিত হয়ে যায়। বৈঠকে কমিটির সদস্য নাসির উদ্দিন দক্ষিণ সুদান সফরে সেনাবাহিনীর চিঠি পাঠানোর কথা তুলে ধরে প্রথমে কুয়েত ওকেপি (অপারেশন কুয়েত পুনর্গঠন) যাওয়ার অভিমত ব্যক্ত করেন। সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহও তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করেন।
এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি সুবিদ আলী ভূঁইয়া বলেন, সংসদীয় কমিটি বিদেশে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের কার্যক্রম পরিদর্শন করলে তাঁদের সমস্যা নির্ধারণ করে সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা সহজ হবে। তবে পরিদর্শনের ক্ষেত্র শুধু জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন হতে হবে, এমন বাধ্যবাধকতা নেই। কুয়েতে সশস্ত্র বাহিনীর অনেক সদস্য কাজ করছেন উলেল্গখ করে তিনি বলেন, কুয়েত পুনর্গঠন এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দেখতে যাওয়া তাঁদের নৈতিক দায়িত্ব।
এদিকে গতকাল বৈঠকে কমিটির সুপারিশের অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন এলাকা পরিদর্শনের সংশ্নিষ্ট ফিল্ড মিশনসহ জাতিসংঘ সদরদপ্তরের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে ফিল্ড মিশনের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি, হোস্ট কান্ট্রির অনুমোদন ইত্যাদি বিবেচনায় নিতে হয়। এসব দিক বিবেচনায় কুয়েত পরিদর্শনের পরিকল্পনা প্রক্রিয়াধীন।