সকল ধর্মে কন্যাশিশুর জন্য সম্পদ বণ্টনে ন্যায্যতা প্রয়োজন: চুমকি

বিতার্কিকসহ অতিথিরা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২২ | ০৬:৫৩ | আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২২ | ০৬:৫৪
কন্যাশিশুর সুরক্ষার ক্ষেত্রে আইনের প্রয়োগ যেমন প্রয়োজন তেমনি জনসচেতনতাও বিশেষ প্রয়োজন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে জনসচেতনতায় আরো মনোযোগ প্রয়োজন।
আজ (১১ অক্টোবর ২০২২, মঙ্গলবার) এফডিসিতে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি ও জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম যৌথভাবে আয়োজিত এক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, এমপি এসব কথা বলেন। প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানটির আয়োজনে সহযোগিতা করে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ও পত্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি'র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সিনিয়র ডিরেক্টর চন্দন জেড গোমেজ ও জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, সাংবাদিক সাকিলা জেসমিন ও সাবেক বিতার্কিক কৃষিবিদ ফালগুনী মজুমদার।
তিনি বলেন, কন্যাশিশুরদের পাশাপাশি সমাজে ছেলে শিশুরাও সেক্সচুয়াল হ্যারাজ হয় কিন্তু সমাজে তার বিরূপ প্রতিফলন কন্যাশিশুদের মতো তীব্র হয় না। তাই কন্যাশিশুর সুরক্ষার দায়িত্ব সমাজের সর্বস্তরের শ্রেণী পেশার মানুষের।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি'র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বাংলাদেশের ১৮ শতাংশ মেয়ের ১৫ বছর বয়সের মধ্যে বিয়ে হয়। বাংলাদেশে ১৫ থেকে ১৯ বছরের কিশোরীদের ৩১ শতাংশই গর্ভবতী হন। যারা শারিরিক ও মানসিক ভাবে সন্তান জন্মদানের জন্য প্রস্তুত নয়। ৪৩ শতাংশ কিশোরী মা গর্ভজনিত সমস্যার কারণে মৃত্যু ঝুঁকিতে থাকেন। বিশ্বে প্রতি ৭ সেকেন্ডে ১৫ বছরের কম বয়সী একটি কন্যাশিশুর বিয়ে হচ্ছে। আফগানিস্ত্মান, ইয়েমেন ও সোমালিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশে অল্প বয়সী কন্যাশিশুদের সাথে বেশী বয়সী পুরম্নষদের বিয়ে দেওয়ার প্রবণতা খুবই বেশী।
ইউনিসেফের তথ্যমতে বর্তমান বিশ্বে ৭০ কোটি মেয়ে বাল্যবিবাহের শিকার। এই ধারা চলতে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাল্যবিয়ের শিকার কন্যাশিশুর সংখ্যা ৯৫ কোটিতে পৌছাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে বাল্যবিয়ের শিকার মেয়েদের ২০ শতাংশ ২৪ বছর বয়সের মধ্যেই ২ বা তার অধিক সন্তানের মা হচ্ছেন। ফলে প্রসূতি মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। বাল্যবিবাহ বৃদ্ধির কারণ হিসেবে অশিক্ষা, দারিদ্র্য, কুসংস্কার, বখাটেদের উৎপাত ও অসচেতনতাকে দায়ী করা যেতে পারে।
প্রতিযোগিতায় বিরোধী দল ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশকে পরাজিত করে সরকারি দল পত্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ট্রফি, ক্রেষ্ট, নগদ অর্থসহ সনদপত্র প্রদান করা হয়। প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল- "আইনের প্রয়োগ নয়, জনসচেতনতাই পারে কন্যাশিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে"।- সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।