ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নেই যুগোপযোগী কর্মপরিকল্পনা

সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নেই যুগোপযোগী কর্মপরিকল্পনা

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২২ | ২৩:০৩

দেশে স্বাস্থ্য অবকাঠামো তুলনামূলক ভালো হলেও দক্ষ জনবলের অভাব ও চিকিৎসকদের সদিচ্ছার অভাবে মানসম্মত সেবা মিলছে না সরকারি হাসপাতালে। এ ছাড়া জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্তদের বিনামূল্যে সেবাপ্রাপ্তিতে নানা সংকট রয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালে বেশি ব্যয়ে সেবা নিতে পারছে না সাধারণ মানুষ। তাই দেশের অনেক মানুষ সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার বাইরে থাকছে। এ পরিস্থিতিতে আজ পালিত হচ্ছে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- 'কাঙ্ক্ষিত পৃথিবী গড়ি, সুস্থ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করি'।

সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্থাৎ ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ নিশ্চিতে যুগোপযোগী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, বাজেটের পরিধি বাড়ানো এবং রাজনৈতিক অঙ্গীকার জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী গ্রামাঞ্চলে থাকা কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন সাব-সেন্টার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতাল এবং নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র, নগর প্রাইমারি হেলথ কেয়ার ডেলিভারি সার্ভিসেস প্রজেক্ট, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সরকারিভাবে মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট জনগোষ্ঠীর ৪০ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। অর্থাৎ ৬০ শতাংশ মানুষ সরকারি স্বাস্থ্যসেবার বাইরে। তবে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাদের মধ্যে প্রায় ১০ কোটি মানুষ স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় মেটাতে গিয়ে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে। বাংলাদেশে ৪ কোটি ৮০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে এবং প্রতি বছর শারীরিক অসুস্থতার কারণে ৬৪ লাখ মানুষ আরও দরিদ্র হচ্ছে।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টের হিসাব অনুযায়ী, যে কোনো পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের জন্য ৬৭ শতাংশ ব্যয় সেবা গ্রহণকারীর বহন করতে হয়। সরকার ৩০ শতাংশ এবং এনজিও, বেসরকারি খাত ও ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি বাকি ব্যয় বহন করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ বলেন, যুগোপযোগী কর্মপরিকল্পনা নেই।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা বাস্তবায়নে বাজেটের পরিধি বাড়ানো ও রাজনৈতিক অঙ্গীকার জরুরি।

স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক ড. মো. এনামুল হক বলেন, টাঙ্গাইলের তিন উপজেলার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে পাইলট প্রকল্প চলমান রয়েছে।
দিবসের কর্মসূচি : সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া সারাদেশে বিভাগ থেকে শুরু করে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা, শোভাযাত্রাসহ সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা হবে।

আরও পড়ুন

×