ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

খুলনা ও বগুড়ার দুই বিদ্যালয়

তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তির লটারি দুই শিক্ষার্থীর নাম ১২ বার

তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তির লটারি দুই শিক্ষার্থীর নাম ১২ বার

খুলনা ও বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৭:১৪ | আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৭:১৪

খুলনা ও বগুড়ায় তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তির লটারির তালিকায় দুটি বিদ্যালয়ে দুই শিক্ষার্থীর নাম ১২ বার এসেছে। এ নিয়ে অন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে খুলনা নগরীর সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের তালিকায় এক শিশুর নাম এসেছে ৯ বার। বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তালিকায় একই শিশু প্রথম, দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ হয়েছে। এ নিয়ে বিব্রত বিদ্যালয়-সংশ্লিষ্টরা। প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এ বিষয়ে শিশু দুটির পরিবারের বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

খুলনার সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাতঃ শাখায় ৮ বার ও দিবা শাখায় একবার নাম এসেছে শিশুটির। তবে তার মোবাইল ফোন নম্বর ও জন্ম নিবন্ধন নম্বর ভিন্ন। নামেও রয়েছে সামান্য অদল-বদল। শিশুটির বাবা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক অনিরুদ্ধ সরদার ও মা বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সের চিকিৎসক নিপা রায়ের নাম সব স্থানে একই রয়েছে। তবে তাঁদের মেয়ের নাম অনিন্দিতা সরদার আশি, অঙ্কিতা সরদার নির্জা ও অঙ্কিতা সরদার নীতি বসিয়ে আবেদন করা হয়। প্রাতঃ শাখায় ১৯, ৩২, ৩৭, ৮১, ৮২, ৯০ ও ১০৮ ক্রমিক এবং দিবা শাখায় ২৫ নম্বরে এসেছে একই ছবি বসানো ওই শিশুর ভিন্ন তিনটি নাম।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাকামী মাকসুদা বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ওই ছাত্রীর ভর্তি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। জালিয়াতির বিষয়টি লিখিতভাবে শিক্ষা অধিদপ্তরে জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অনিরুদ্ধ সরদার ও নিপা রায়ের মোবাইল ফোনে অসংখ্যবার কল করা হলেও তাঁরা কেউ রিসিভ করেননি। ফলে বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে একই শ্রেণিতে ভর্তির জন্য লটারিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ স্থানে এসেছে মোছা. শর্মিলা আক্তারের নাম। সে শহরের চেলোপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম ও নাছিমা আক্তার দম্পতির সন্তান। শর্মিলার নাম ও ছবির সঙ্গে তিনটি ভিন্ন জন্মনিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে। যদিও মা-বাবার নাম একই রয়েছে। সংশ্নিষ্টরা জানিয়েছেন, আবেদনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ইউজার আইডি ব্যবহার করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন বলেন, 'এ বিষয়টি নিয়ে আমরাও বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি।' আবেদনে ভিন্ন ভিন্ন ইউজার আইডি ব্যবহার করায় তিনি মনে করছেন, এ কৌশল শিশুটির অভিভাবকরাই নিতে পারেন। আবার সফটওয়্যারের দুর্বলতাও থাকতে পারে। কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছেন না তিনি। ত্রুটি পেলে আইন অনুযায়ী ভর্তির সুযোগ বাতিল হবে। অপেক্ষাধীন শিক্ষার্থীরা তার জায়গায় সুযোগ পাবে।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে মঙ্গলবার বিকেলে শর্মিলাদের চেলোপাড়ার বাসায় গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, তাঁদের গ্রামের বাড়ি সারিয়াকান্দি উপজেলায়। মোবাইল ফোন নম্বরে কয়েক দফায় কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন

×