ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হলে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে: খাদ্য উপদেষ্টা

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হলে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে: খাদ্য উপদেষ্টা

মতবিনিময় সভায় খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার

যশোর অফিস

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৫ | ০১:২৮

খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, সরকার চাহিদা মত ধান-চাল সংগ্রহ শেষ করেছে‌। আগামী মাস থেকে ওএমএস এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হবে। এটা শুরু হলে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।  শনিবার দুপুরে যশোর সার্কিট হাউসের সভাকক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ সব কথা বলেন। 

উপদেষ্টা বলেন, চালের দাম কিছুটা বেড়েছে, এটা সত্য। চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে নওগাঁ ও কুষ্টিয়ার সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী মাসের শুরু থেকে ওএমএস এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি হবে। এবারে ৫৩ লাখ পরিবারকে এ কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। এটি শুরু হলে সুফল দ্রুতই মিলবে।

খাদ্য মজুদ অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি মন্তব্য করে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, চলতি মৌসুমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য মজুদ রয়েছে। প্রচুর বোরো ধান উৎপাদনের ফলে খুব শিগগিরই চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে।

আলী ইমাম মজুমদার জানান, দেশের খাদ্য মজুত বর্তমানে অত্যন্ত সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি হয়েছে। ইতোমধ্যে ৭২ শতাংশ ধান ও চাল সংগ্রহ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শতভাগ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
তিনি আরও বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে সরু জাতের ধান চাষের কারণে ধান সংগ্রহে কিছু সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে। সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে এবং ভবিষ্যতে এর সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

খুলনা বিভাগের খাদ্যশস্য সংগ্রহ, মজুদ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন খাদ্য বিভাগের মহাপরিচালক আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবির, যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক আলমগীর বিশ্বাস, যশোর জেলা উপপরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন এবং খুলনা বিভাগের ১০ জেলার জেলা প্রশাসক ও খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন

×