ট্যাংকার ডুবিতে পরিবেশ দূষণের শঙ্কা দেখছে না বিপিসি

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৮:৩৬ | আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৮:৩৬
ভোলায় তেলের ট্যাংকার ডুবিতে পরিবেশ দূষণের শঙ্কা দেখছে না বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। নভেম্বর মাসে বিপিসির মোট লোকসান হয়েছে ৪৩ কোটি টাকা।
দেশে আপতত তেলের দাম কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ হিসেবে বিপিসি বলছে, সব মিলিয়ে এখনও তাদের লোকসান ৪৩ কোটি টাকার মতো। যদিও ডিজেল ছাড়া অন্য সব জ্বালানি তেল বিক্রি করে লাভ করছে বিপিসি।
আজ মঙ্গলবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিপিসি চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ এসব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমছে, দেশে তেলের দাম কমবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৯ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।’
নভেম্বরে ব্যারেলপ্রতি পরিশোধিত ডিজেলের দাম ১০৫ ডলার ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখনও প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রিতে দুই থেকে তিন টাকা লোকসান হচ্ছে। নভেম্বরে শুধু ডিজেল বেচে ২৩৩ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। ডিজেল ছাড়া অন্য তেলে লাভ হওয়ায় মোট লোকসান হয়েছে ৪৩ কোটি টাকা।’
বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘পরিশোধিত ডিজেলের দাম ব্যারেলপ্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে ১০৩ ডলার হলে লোকসান গুনতে হয় না।’
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১২৭ ডলারে উঠেছিল। এর প্রেক্ষিতে গত ৫ আগস্ট ৫২ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়ানো হয় ডিজেল পেট্রোলের। তবে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে দাম পড়তির দিকে। চলতি মাসে ৭০ থেকে ৮০ ডলারে উঠা নামা করছে প্রতি ব্যারেল ক্রুড অয়েলের দাম।
রোববার ভোর ৪টার দিকে ভোলা জেলার তুলাতুলি নামক স্থানে মেঘনা নদীতে ‘ওটি সাগর নন্দিনী-২’ নামে তেলবাহী জাহাজটি ডুবে যায়। এ বিষয়ে বিপিসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘ট্যাংকারে আনুমানিক ১০টি চেম্বার ছিল। এর মধ্যে একটি চেম্বার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সেখান থেকে কিছু তেল মেঘনায় ছড়িয়ে পড়ে। এর পরিমাণ আনুমানিক এক থেকে দেড় হাজার লিটারের বেশি নয়। এর মধ্যে কিছু তেল আবার স্থানীয়ভাবে উদ্ধার করা হয়েছে। জাহাজটিতে ৭৫৮ টন ডিজেল এবং ১৭১ টন অকটেন ছিল। টাকার হিসাবে সেখানে আনুমানিক ১২ থেকে ১৩ কোটি টাকার তেল ছিল।’
বিপিসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘নদীতে ঘন কুয়াশার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর জাহাজ হতে ছড়িয়ে পড়া কিছু তেল পানির উপর থেকে হোজ পাইপের মাধ্যমে উদ্ধার করে ৭টি ড্রামে পূর্ণ করা হয়। বেসরকারি সহযোগিতায় ট্যাংকার উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তেল পানিতে ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে ইতোমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজনও সেখানে গিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পদ্মা অয়েল কোম্পানির পক্ষ হতে দুর্ঘটনার কারণ ও ক্ষতি নিরুপণে জন্য ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিপিসিও তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।
- বিষয় :
- বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন
- বিপিসি