ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

দুদকের ৪০৮ অভিযোগের সব নথি হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ

দুদকের ৪০৮ অভিযোগের সব নথি হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৬:৫০ | আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৬:৫০

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের শেষ সময়ে অব্যাহতি দেওয়া ৪০৮ অভিযোগের সব নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এসব প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
২০২১ সালের ১৬ মার্চ দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ শেষ পাঁচ মাসে কতজনকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন, তার তালিকা চান হাইকোর্ট। একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আসার পর হাইকোর্ট এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবেদককেও এ-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় হাইাকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে দুদক।
দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের শেষ পাঁচ মাসে ৪০৮টি অভিযোগের অনুসন্ধানে কোনো তথ্য-প্রমাণ মেলেনি। এ কারণে কোনো মামলা দায়ের না করেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় দুদক। ৪০৮ অভিযোগের এ তালিকায় আছে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের দিলীপ কুমার আগারওয়াল, পিপলস লিজিংয়ের পরিচালক ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেম, বাপেপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নওশাদুল ইসলাম, রাউজকের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হুদা ও হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক কফিল উদ্দিনের।
২০২১ সালে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদায়ের আগে দুর্নীতির বহু রাঘব-বোয়ালকে ছেড়ে দেন দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তাঁদের দায়মুক্তি আড়াল করতে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন কিছু নিরীহ ব্যক্তিকে। সব মিলিয়ে শেষ পাঁচ মাসে তিনি দুই শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন। ২০১৬ সালের ১০ মার্চ ইকবাল মাহমুদ দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন। ২০২১ সালের ১০ মার্চ অবসরে যান তিনি।

আরও পড়ুন

×