ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

সততা বজায় রাখতে মন্ত্রী-মেয়র হননি, দাবি এমপি রমতউল্লাহর

সততা বজায় রাখতে মন্ত্রী-মেয়র হননি, দাবি এমপি রমতউল্লাহর

ঢাকা-১১ (বাড্ডা) আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ। ফাইল ছবি

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৫:৫২ | আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৫:৫২

সরকারদলীর সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে মেয়র হওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানকার টেবিল, বাতাস সব চোর। এ কারণে তিনি যাননি। তাকে মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। একই কারণে তিনি মন্ত্রী হতেও রাজি হননি।

জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে আজ রোববার রহমতুল্লাহ এ কথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

ঢাকা-১১ (বাড্ডা) আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ দলীয় এই সদস্য বলেন, আমি কিন্তু ঢাকার এমপি। এখনকার মধ্যে মোস্ট সিনিয়র এমপি, এখানে মতিয়া আপা আছে, আমার চেয়ে মোস্ট সিনিয়র পাঁচ থেকে ছয়জন আছে। আমার বয়স এখন ৭৬ বছর চলছে।

জাতীয় পার্টির এমপি কাজী ফিরোজ রশীদ এবং তিনি একইসঙ্গে লেখাপড়া করতেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমার ছেলের বয়সও ৪৯ বছর। অনেকেই প্রশ্ন করে, আমি পাঁচবারের এমপি। মন্ত্রী হলাম না কেন?

এ কে এম রহমতুল্লাহ বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই, হানিফ সাহেব মারা যাওয়ার পর আমাকে মেয়র হওয়ার জন্য অফার করেছিলেন। আমি আপাকে বললাম ওখানে যাবো না। ওখানে টেবিলে চুরি করে, বাতাসে চুরি করে এবং ওখানের মধ্যে সব চোর। আমি যাবো না।

তিনি আরও দাবি করেন, এরপর তাকে মন্ত্রী হওয়ারও অফার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব কারণে তখনও রাজি হননি।

রহমতুল্লাহ বলেন, আমি ঢাকা শহরে সর্বপ্রথম ট্যাক্স বাহাদুর নির্বাচিত হয়েছি। আমার অনেক কোম্পানি আছে। খালি দুইটা নামই বলবো। একটা হলো এপেক্স ট্যানারি। আরেকটা হলো এফডি ফুটওয়্যার। এটা আমার ছেলেরা করছে। এটারও টার্নওভার ৫০০ কোটি টাকার মতো। আমার ছেলে বাংলাদেশের বড় ওষুধ কারখানা করবে, জায়গাও কেনা হয়ে গেছে ৮০ বিঘা। আল্লাহর রহমতে ব্যাংকে আমার কোনো দেনা নেই। আমাদের কী সম্পত্তি আছে, এটা ওপেনলি বলবো না। এটা শুধু মতিয়া আপা এবং প্রধানমন্ত্রীকেই বলবো।

আরও পড়ুন

×