আসকের ভার্চুয়াল সভায় বক্তারা
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে শক্তি হয়ে দাঁড়াতে হবে মানবাধিকার কর্মীদের

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১৫:১১ | আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১৫:১১
'মানবাধিকার রক্ষায় প্রান্তিক-অসহায় জনগোষ্ঠীর পাশে মানবাধিকার কর্মীদের আশ্রয় ও শক্তি হয়ে দাঁড়াতে হবে। একই সঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে আরও কার্যকর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে হবে।'
বুধবার আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) আয়োজিত 'জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে জাতীয় ও স্থানীয় মানবাধিকার কর্মীদের সংলাপ' শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
প্রতিবছর দেশের মানবাধিকার কর্মীদের সঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সংযোগ স্থাপনের জন্য এ সংলাপ আয়োজন করে আসক। এবারের আয়োজনে ঢাকাসহ দেশের ২১ জেলা থেকে অর্ধশত মানবাধিকার কর্মী অংশ নেন।
সভায় উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে বিনা পরোয়ানায় গোপন স্থানে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ, আটকের কয়েক দিন পর গ্রেপ্তার দেখানো, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ, নারী নির্যাতন বৃদ্ধি, পাহাড় ও সমতলে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন, হয়রানির অভিযোগসহ নানা বিষয়ে কমিশনকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান মানবাধিকার কর্মীরা।
এসব বিষয়ে নিরলস কাজ চলছে দাবি করে ড. কামাল উদ্দিন বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা কমিশনের নজরে এলে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয় কমিশন। একই সঙ্গে নিয়মিত শুনানি হয় দায়ের করা অভিযোগের ওপর।
আসকের নির্বাহী পরিচালক নুর খান বলেন, নাগরিক সংগঠনগুলোর চেয়ে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে কমিশনের ক্ষমতা বিস্তৃত। তাই মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করতে কমিশনকে আরও সক্রিয় হতে হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর মধ্য দিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের প্রতি শক্ত বার্তা দিতে হবে।
সভা সঞ্চালনা করেন আসকের কর্মসূচি পরিচালক আইনজীবী নীনা গোস্বামী। সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতীয় মানবাধিকার সম্পর্কিত বিদ্যমান মানদণ্ডগুলো তুলে ধরেন তামান্না হক রীতি। এ ছাড়া গত ১৩ মাসের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন আসকের জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক আবু আহমেদ ফয়জুল কবির।
- বিষয় :
- মানবাধিকার কমিশন
- আইন ও সালিশ কেন্দ্র
- আসক