ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

কমলাপুরের চাপ কমাতে গেন্ডারিয়ায় টার্মিনাল স্টেশনের প্রস্তাব

কমলাপুরের চাপ কমাতে গেন্ডারিয়ায় টার্মিনাল স্টেশনের প্রস্তাব

ফাইল ছবি

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১৫:৩৯ | আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১৫:৫৫

কমলাপুর স্টেশনের ওপর চাপ কমাতে গেন্ডারিয়াকে টার্মিনাল স্টেশনে রুপান্তরের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে হাওড়া ও শিয়ালদহে যেমন পাশাপাশি দুটি টার্মিনাল স্টেশন রয়েছে, একই সুবিধা বাংলাদেশে চালু করা প্রয়োজন। যাতে পদ্মা রেল সংযোগ চালুর পর, দক্ষিণবঙ্গের ট্রেনের জন্য টার্মিনাল সুবিধা পাওয়া যায়। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্টের কার্যালয় থেকে এসব প্রস্তাব করা হয়েছে।

রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং রেলওয়ের মহাপরিচালকে কার্যালয়ে এ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে রেলের সচিব ড. হুমায়ুন কবীর এবং মহাপরিচালক কামরুল আহসানের বক্তব্য জানতে পারেনি সমকাল।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে প্রতিদিন ১৪৬টি ট্রেন চলাচল করে। কমলাপুর থেকে প্রতি ২০ মিনিট অন্তর একটি ট্রেন ছাড়ে। একই সময়ে আরেকটি ট্রেন স্টেশনে প্রবেশ করে। এ হিসেবে দিনে ৭২টি ট্রেন কমলাপুর থেকে ছাড়তে পারে। ৭২টি ট্রেন প্রবেশ করতে পারে। কমলাপুরের দৈনিক ১৪৪টি ট্রেন পরিচালনার সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু চলছে আরও বেশি। তাই ঢাকা একটি বিকল্প টার্মিনাল স্টেশন গড়ে তোলা জরুরি।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, পদ্মা রেল সংযোগ, যমুনায় বঙ্গবন্ধু রেলসেতু চালু হলে দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকামুখী ট্রেনের সংখ্যা বাড়বে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুট ডাবল লাইনে উন্নীত হওয়া এবং কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ শেষে ঢাকা থেকে বিপুল সংখ্যক ট্রেন পরিচালনা করতে হবে। তাই কমলাপুরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। পাশাপাশি গেন্ডারিয়া স্টেশনকে টার্মিনাল স্টেশন হিসাবে গড়ে তুললে ট্রেন বাড়ানো যাবে।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় গেন্ডারিয়া স্টেশনে ছয়টি লাইন নির্মাণ করা হবে। গেন্ডারিয়া থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে পোস্তগোলা স্টেশনে ট্রেন ধোয়ামোছার জন্য ওয়াশপিট এবং মেরামতে সিক লাইন করা গেলে গেন্ডারিয়া স্টেশনকে দক্ষিণাঞ্চলের ট্রেনের টার্মিনাল স্টেশন হিসাবে গড়ে তোলা যেতে পারে। বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে পুরনো পোস্তগোলা স্টেশনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে।

কমলাপুর স্টেশনের সক্ষমতা বৃদ্ধিরও প্রস্তাব করা হয়েছে। বলা হয়েছে, কমলাপুর একটি ‘ডেডএন্ড স্টেশন’। একটি ট্রেন ওয়াশপিটে পাঠাতে হলে অন্যান্য ট্রেন বন্ধ রাখতে হয়। এতে ট্রেন চলাচলে বিলম্ব হয়। আখাউড়া বা ঈশ্বরদী জংশনের মতো দুই দিক থেকে সান্টিংয়ের সুবিধা থাকলে, বিলম্ব কম হতো। কমলাপুর স্টেশনের নিচতলার অফিস ভবন সরিয়ে সেখানে রেললাইন ও প্লাটফর্ম বাড়ানো গেলে অপারেশনাল সক্ষমতা বাড়বে।

কমলাপুর স্টেশনের বিষয়ে কিছু পর্যবেক্ষণ রয়েছে প্রস্তাবে। বলা হয়েছে, কমলাপুর ও তেজগাঁও স্টেশনের মধ্যবর্তী মগবাজারে একটি ‘এ’ শ্রেণির স্টেশন তৈরি হলে, কমলাপুর থেকে ১০ মিনিট অন্তর ট্রেন চালানো সম্ভব হবে। ‘এ’ শ্রেণির স্টেশন তৈরি সম্ভব না হলে, খিলগাঁও রেলগেট থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত রেল লাইনের দুই পাশে নিরাপত্তা দেয়াল নির্মাণ তৈরি করা প্রয়োজন। যাতে এই সেকশনে ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলতে পারে। তাতেও ১০ মিনিট অন্তর ট্রেন চালানো সম্ভব।

আরও পড়ুন

×