বিদ্যুতের আধুনিকায়ন ও বেসরকারি খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে: প্রতিমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৩ | ১৫:৪৮ | আপডেট: ১৮ মে ২০২৩ | ১৫:৪৮
তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনুমোদন ও পাওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে আজ বৃহস্পতিবার এক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, নবায়ণযোগ্য জ্বালানির প্রসারে অর্থায়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অর্থায়নের সঙ্গে কম খরচে অর্থায়ন বিষয়টিও সম্পৃক্ত। কৃষির জন্য জমি রেখে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারকে সরকার উৎসাহিত করছে ও করবে। রূপটপ সোলারের জন্য নেট মিটারিং কার্যক্রম জোরদার রাখা হয়েছে। অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের অব্যবহৃত অকৃষিজমি ব্যবহারেও সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও ভূমির প্রাপ্তি শীর্ষক প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে। যাচাই প্রতিবেদনে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক চুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ জোন করা, ভূমির ডিজিটাল ভিত্তিক প্লট রেকর্ড, কারিগরিভাবে উপযুক্ত সরকারি ভূমি চিহ্নিত করার পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য প্রক্রিয়া চালুকরণ প্রভৃতি সুপারিশ করা হয়েছে। প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদনে ছয়টি সাইট চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখান থেকে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ৬৩০৬ দশমিক ৩৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব।
বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে স্রেডার চেয়ারম্যান মুনীরা সুলতানা, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বক্তব্য দেন।