শাহজালালে গণশুনানি
যাত্রীদের অভিযোগ শুনে বিব্রত বেবিচক কর্মকর্তারা

বিমানবন্দরে সেবার মান নিয়ে গণশুনানি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৩ | ১২:৪৮ | আপডেট: ২৫ জুন ২০২৩ | ১৩:১৭
বিমানবন্দরে সেবার মান উন্নয়নে গণশুনানি অনুষ্ঠানে যাত্রীদের অভিযোগ শুনে বিব্রত হয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কর্মকর্তারা। রোববার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বহির্গমন টার্মিনালে এ গণশুনানির আয়োজন করা হয়। সেখানে বেবিচকের কর্তা ব্যক্তিদের পেয়ে ভোগান্তি আর নানা হয়রানি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভুক্তভোগী বিদেশগামী যাত্রীরা। যাত্রীদের ক্ষোভ আর অভিযোগ শুনে তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন বেবিচকের চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান।
বগুড়ার মনোয়ার হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, আমি ৮ বছর ধরে সিঙ্গাপুরে কাজ করি। বার্ষিক ছুটি শেষে ঢাকার এ বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াত করি। বিমানবন্দরে যাত্রীসেবার মান তেমন উন্নত হয়নি। বিমানবন্দরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের মেশিন থাকলেও তা নষ্ট থাকে সবসময়।
তিনি বলেন, রোববার বহু চেষ্টা করেও পানি সরবরাহ মেশিন থেকে এক গ্লাস পানি সংগ্রহ করা যায়নি। বিষয়টি বিমানবন্দরের হেলফ ডেক্সের কর্মীদের জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।
ভারতীয় নাগরিক আরেক যাত্রী বলেন, পুরোনো আদলে চলছে যাত্রীসেবা। বিমানবন্দরের বিভিন্ন স্থাপনা পুরোনো মডেলেই রয়েছে।

অনুষ্ঠানে ভুক্তভোগী যাত্রীদের বক্তব্য শুনে বিমানবন্দরে কর্মরত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন বেবিচক চেয়ারম্যান। তিনি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক কামরুল ইসলামকে নির্দেশনা দেন।
অনুষ্ঠানে বেবিচকের চেয়ারম্যান যাত্রীদের আশস্ত করে বলেন, বর্তমান যাত্রীদের তুলনায় বিমানবন্দরের জায়গা স্বল্পতা রয়েছে। যাত্রীসেবার মান আন্তর্জাতিক মানের উন্নত করতে নির্মিত হচ্ছে তৃতীয় টার্মিনাল। অচিরেই এ টার্মিনাল যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে। এ লক্ষ্যে কাজ চলছে। আশা করছি, সিঙ্গাপুরের চ্যাঙ্গি বিমানবন্দরের মতো সেবা পাবেন যাত্রীরা।
বেবিচক চেয়ারম্যান জানান, চোরাচালানের সঙ্গে বিমানবন্দরের এক শ্রেণির কর্মচারী জড়িত। এ চোরাচালান চক্রটির কারণে ক্ষুণ্ন হচ্ছে দেশের ভাবমূতি। বিমানবন্দরের উন্নত যাত্রী সেবায় যাত্রীদের জন্য অচিরেই চালু হচ্ছে মোবাইল অ্যাপস। এর মাধ্যমে যাত্রীরা যেকোনো বিষয়ে যোগাযোগ করতে পারবেন। বিমানবন্দরে যাত্রীসেবায় নানা হয়রানির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভবিষ্যতে যাত্রীরা যাতে এ ধরনের অভিযোগ করতে না পারেন সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বেবিচকের সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) মো. সাদিকুর রহমান চৌধুরী, সদস্য (প্রশাসন) মো. মাহবুব আলম তালুকদার, সদস্য (অর্থ) মো. আজিজ তাহের খান, সদস্য (সিকিউরিটি) আবু সালেহ মোহাম্মাদ মান্নাফি, প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুল মালেক প্রমুখ।