নাম বদলাতে চায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৩ | ১৬:৩২ | আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৩ | ১৬:৩২
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ওই আবেদনের ওপর মতামত দিতে সেটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে ইউজিসি এখনও এ বিষয়ে মতামত সরকারকে জানায়নি। গত মে মাসে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ নাম পরিবর্তনের আবেদন করে।
২০০১ সালে রাজধানীর বনানীতে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী ১৩ সহস্রাধিক।
স্যার ফজলে হাসান আবেদ জীবিত থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের (বিওটি) ৩১তম সভায় প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া হয় এবং সেটি গৃহীত হয়। ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন তামারা হাসান আবেদের সভাপতিত্বে সভায় ৯ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। একই বছরের ২০ ডিসেম্বর মারা যান স্যার ফজলে হাসান আবেদ।
ট্রাস্টিজ ওই সিদ্ধান্ত নেওয়ার তিন বছরের বেশি সময় পর গত ২৮ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অনুমতি নিয়ে নাম পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু করে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর ও প্রেসিডেন্ট ভিনসেন্ট চ্যাং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব দেন। একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট সদস্যরা সে প্রস্তাব সমর্থন করেন। নাম পরিববর্তনের প্রস্তাবে সম্মতি আছে কিনা, সে বিষয়ে চেয়ারপারসন তামারা আবেদ প্রত্যেকের কাছে আলাদাভাবে জানতে চাইলে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সব সদস্য নিজেদের সমর্থনের কথা জানান। ট্রাস্টিজের সদস্য এএমআর চৌধুরী বলেন, তাঁর (স্যার ফজলে হাসান আবেদ) অনন্য অবদানের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য এর চেয়ে ভালো উপায় আর হতে পারে না। এর পর ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড প্রস্তাবটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, ইউনিভার্সিটির নাম পরিবর্তন নিয়ে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের একটি অংশের উদ্বেগ রয়েছে। তাদের শঙ্কা, নাম পরিবর্তন হলে সনদ নিয়ে জটিলতা তৈরি হতে পারে। তবে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ব্র্যাক প্রতিষ্ঠাতার প্রতি সম্মান জানানোর এ উদ্যোগে খুশি।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে আশ্বস্ত করেছেন, নাম পরিবর্তনের ফলে কারও একাডেমিক সার্টিফিকেট, ডিগ্রি বা কনফার্মেশন লেটার হালনাগাদ করার প্রয়োজন হলে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
ইউজিসির সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ সমকালকে জানান, নাম পরিবর্তনের জন্য ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন করার কথা তিনি শুনেছেন। তবে এ সংক্রান্ত নথি এখনও তাঁর পর্যায়ে পৌঁছেনি।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বেসরকারি ‘রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র নাম পরিবর্তনের আবেদন করে ওই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক এমপি ডা. এইচবিএম ইকবালের প্রয়াত স্ত্রীর নামে ‘ডা. মমতাজ বেগম রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’ করার জন্য সরকারের অনুমতি চাওয়া হয়।
ইউজিসি সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত একটি বিশ্ববিদ্যালয় নাম পরিবর্তনে সরকারের অনুমতি পেয়েছে; সেটি হলো ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স। রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত বেসরকারি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আগে নাম ছিল ‘স্কলার্স ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’। তিন মাস আগে তারা নাম পরিবর্তনের অনুমতি পায়।