পবিত্র আশুরার দিনেও বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচি!

ছবি: সমকাল
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৩ | ১০:৪৫ | আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৩ | ১০:৪৫
আজ বেদনাবিধুর সেই ১০ মহররম। হিজরি ৬১ সনের এই দিনে কারবালার প্রান্তরে মহানবীর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসাইন ও তার পরিবারের সদস্যরা শাহাদাত বরণ করেন বিশ্বাসঘাতকদের হাতে। মর্মান্তিক এ ঘটনাকে স্মরণ করে এদিন বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
পবিত্র আশুরার দিনে ঢাকার চার প্রবেশমুখে বিএনপি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি বিএনপির। আশুরার মত ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের দিনে পূর্বে কোন রাজনৈতিক কর্মসূচির অভিজ্ঞতার মধ্যে যায়নি এদেশের মানুষ। এ দিন ধর্মপ্রাণ মুসলিম সম্প্রদায় ইবাদত বন্দেগি, মিলাদ মাহফিল, সুন্নত রোজা রেখেই দিন কাটায়। অনেকেই তার মৃত বাবা মা পূর্বসূরিদের কবর জিয়ারতের জন্য চলে যান কবরস্থানগুলোতে। সেই অবস্থায় বিএনপির এই কর্মসূচি এবং রাজধানীতে ঘটে যাওয়া সংঘর্ষ, হামলার ঘটনা মুসলিম উম্মাহ’র মনে দাগ কেটেছে।
এদিন সকালে ছাড়াও মধ্যরাতে শোক মিছিলের ৩০০ বছরের ঐতিহ্য রয়েছে ঢাকাবাসীর। তবে ২০১৫ সালে হোসেনি দালানে বোমা বিস্ফোরণের পর থমকে যায় সেই রীতি। ৭ বছর পর আবারও সেই সুযোগ পেয়েছে ইমাম হোসাইনের ভক্তকূল। তাই শোক আর প্রতিবাদ প্রকাশে রাস্তায় হাজারো মানুষ। আয়োজক কমিটি জানায়, মূল মিছিল শুরু হয় সকাল ১০টায়। তবে এদিন রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকায় হতাশা প্রকাশ করেন তারা।
বিএনপি ধর্মীয় দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘদিন রাজনীতিও করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন, ক্ষমতায় যেতে বিদেশি প্রেসক্রিপশন রাখতে যেয়েই তারা মুসলিম উম্মাহর অন্যতম ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের দিনটিকে আমলে নেননি, যা ধর্মপ্রাণ মানুষের হৃদয়ে চরম আঘাত দিয়েছে। বিএনপি শুধু মুখেই ধর্মের কথা বলে বাস্তবে তারা ধর্মকে অবমাননা করে। তিনি মনে করেন, ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি প্রমাণ করে, বিএনপি ২০১৩-১৪ সালের ন্যায় পুনরায় সহিংস পথ বেছে নিচ্ছে।