ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলীগকে ‘ধর্মীয় পর্যটন’ ঘোষণা করতে আইনি নোটিশ

বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলীগকে ‘ধর্মীয় পর্যটন’ ঘোষণা করতে আইনি নোটিশ

বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিরা- ফাইল ছবি

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৩ | ১০:৩৪ | আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৩ | ১৩:৫৬

বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলীগকে ‘ধর্মীয় পর্যটন’ ঘোষণার পাশাপাশি ঢাকার কাকরাইলে তাবলীগের মারকাজ মসজিদে সরকারি প্রশাসক নিয়োগ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশ পাওয়ায় ৩০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আইনি প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলেও নোটিশে বলা হয়েছে।

রোববার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন। অন্য যাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন– বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (ডিজি), বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ও কাকরাইলে তাবলীগের মারকাজ মসজিদের প্রধান।

নোটিশে বলা হয়েছে, ‘সারাবিশ্বে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় মহাসমাবেশ হলো পবিত্র হজ। প্রতি বছর হজের নির্ধারিত সময় ছাড়াও সারাবছর বিশ্বের মুসলিমরা উমরাহ পালন করে থাকে। হজ ও উমরাহ থেকে সৌদি আরব বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করে থাকে। বিশ্বের অন্যতম সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী- ২০১৯ সালে এক বছরেই সৌদি আরব হজ ও উমরাহ থেকে ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় এক লাখ বত্রিশ হাজার কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১১০ টাকা হিসেবে)। অন্যদিকে সারাবিশ্বে মুসলমানদের জন্য হজের পর দ্বিতীয় মহাসম্মেলন হলো বিশ্ব ইজতেমা। এছাড়া সারা বছর তাবলীগ কার্যক্রমের নিয়ম আছে। ওই বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলীগের কার্যক্রমে ব্যাপক সংখ্যায় বিদেশি মুসলিম পর্যটকদের আকৃষ্ট করে বাংলাদেশে আনতে পারলে বাংলাদেশ‌ প্রতিবছর কয়েক বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারবে এবং বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির ব্যাপক উন্নয়ন হবে।’

নোটিশে আরও বলা হয়, ‘কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যর্থতা, উপমহাদেশীয় ষড়যন্ত্র এবং কিছু ধর্মীয় নেতাদের পারস্পরিক হিংসাত্মক দ্বন্দ্বের কারণে বাংলাদেশে তাবলীগের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। যার কারণে বিশ্ব ইজতেমা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এতে করে সারাবিশ্বের মুসলিমদের কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা যাচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোর ব্যর্থতার কারণে বাংলাদেশ এই অপার সম্ভাবনাময় ‘ধর্মীয় পর্যটনের’ অর্থনৈতিক সুযোগকে কাজে লাগাতে পারছে না। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ প্রতিবছর কয়েক বিলিয়ন ডলারের আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং মুসলিম বিশ্বে শক্তিশালী প্রভাব অর্জন করতে ব্যর্থ হচ্ছে।’

এ বিষয়গুলো উল্লেখ করে বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলীগের অর্থনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরে নোটিশে বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলীগকে ‘ধর্মীয় পর্যটন’ ঘোষণার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাবলীগের নেতৃত্বকে কেন্দ্র করে কাকরাইলের মারকাজ মসজিদে চলমান কোন্দল নিরসনে সরকারি প্রশাসক নিয়োগ দিতেও নোটিশে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন

×