শিক্ষার্থী বহিষ্কারের প্রতিবাদে মানববন্ধন
‘কুবি উপাচার্য পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন’

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৩ | ১৮:০০
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক ইকবাল মনোয়ারকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন উপাচার্য। এর মাধ্যমে তিনি তাঁর পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। সংবাদ প্রকাশের জেরে একটি দৈনিকের কুবি প্রতিনিধি ইকবালকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে মানববন্ধনে বক্তারা এ কথা বলেন।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা। মানববন্ধন থেকে ইকবালের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং দুর্নীতির পক্ষে সাফাই গাওয়ায় উপাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ইরাব) সভাপতি মীর মোহাম্মদ জসিম বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইকবালকে বহিষ্কার করে তাঁর ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। এর মাধ্যমে উপাচার্য তাঁর পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি ইকবালের ছাত্রত্ব দ্রুত ফিরিয়ে দিতে হবে। পুরো বাংলাদেশ আজ ফুঁসে উঠেছে। এমন উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও দেশের জন্য বাধা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, উপাচার্য দুর্নীতির কারণে উন্নয়ন হওয়ার যে কথা বলেছেন, সেটি কখনও টেকসই উন্নয়ন নয়। তাঁর এ বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য। এজন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে পদ থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মামুন তুষার বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দুর্নীতির পক্ষে বক্তব্য দিয়ে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করেছেন। যেটি দেশের আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। সেই বক্তব্যের জন্য তাঁর জাতির সামনে ক্ষমা চাওয়া উচিত। এটি না করে বরং তিনি একজন সাংবাদিককে কোনো ধরনের আইনের তোয়াক্কা না করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করেছেন। তিনি একজন সাংবাদিককে প্রশাসনিক শাস্তির মুখোমুখি করার নিকৃষ্টতম নজির স্থাপন করলেন। তাঁর এই হীন কর্ম স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায়।
কুবি সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন কুবি সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা কলেজ সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।
এদিকে ইকবালের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করায় লাগাতার আন্দোলনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুবি সাংবাদিক সমিতি। ইকবাল সংগঠনটির অর্থ সম্পাদক। গতকাল সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের এক জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ রোববার থেকে ক্যাম্পাসে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি, সমাবেশ ও মৌন মিছিল করা হবে।
২ আগস্ট যায়যায়দিন পত্রিকায় উপাচার্যকে নিয়ে প্রতিবেদনের জেরে ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ইকবাল মনোয়ারকে সাময়িক বহিষ্কার করে চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।