ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

পাটগ্রাম থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া এক আসামি গ্রেপ্তার, বিএনপির ৩ নেতা বহিষ্কার

পাটগ্রাম থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া এক আসামি গ্রেপ্তার, বিএনপির ৩ নেতা বহিষ্কার

পাটগ্রাম থানা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৫ | ২০:৪৭

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় হামলা করে ছিনিয়ে নেওয়া সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামির মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে আসামি সোহেল রানাকে পাটগ্রাম পৌরসভার মীর্জারকোট এলাকায় নিজ বাড়ি থকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর আসামি বেলাল হোসেন এখনও পলাতক রয়েছে।

গত বুধবার রাতে পাটগ্রাম থানায় হামলা ও ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা ওই দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পাথর কোয়ারির রয়ালটির নামে গাড়ি থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে তাদের এক মাস করে কারাদণ্ড হয়েছিল।    

এছাড়া ওই ঘটনায় একইদিন আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হলেন মাসুদ ও রবিউল ইসলাম। এ নিয়ে পাটগ্রাম থানায় হামলার ঘটনায় সাত জন গ্রেপ্তার হলেন। এর আগে হাতীবান্ধায় করা মামলায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নূরুন্নবী কাজলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এদিকে পাটগ্রাম থানায় হামলার ঘটনায় বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের তিন নেতাকে গতকাল বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন, হাতীবান্ধা উপজেলা স্বেচ্ছাসবেক দলের আহ্বায়ক নূরুন্নবী খন্দকার কাজল, পাটগ্রাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি উপজেলা বিএনপির সদস্য বাদশা জাহাঙ্গীর মোস্তাজির চপল ও পাটগ্রাম পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদ হোসেন।

লালমনিরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুস সাত্তার ও সদস্য সচিব মিঠুন সরকার মিঠু স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কাজলকে দলের সবপ্রকার সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি মাহমুদ হোসেনকে ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপি বাদশা জাহাঙ্গীরকে বহিষ্কার করে।

গত বুধবার সন্ধ্যায় লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে চাঁদাবাজির সময় বেলাল ও সোহেলকে হাতেনাতে আটক করে  ভ্রাম্যমান আদালত তাদের এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। পরে তাদের ছাড়াতে ইজারাদার মাহমুদ হাসান ও স্থানীয় বিএনপি নেতা বাদশা জাহাঙ্গীর লোকজন নিয়ে থানায় আসেন। এক পর্যায়ে থানায় হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে তারা দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

পাটগ্রাম থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, থানায় হামলা ও ভাঙচুরে জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

আরও পড়ুন

×