নাইকো চুক্তিতে ‘দুর্নীতির প্রমাণ’ জমা আন্তর্জাতিক আদালতে

ফাইল ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৩ | ১৬:২৩ | আপডেট: ১২ আগস্ট ২০২৩ | ১৬:২৩
বহুজাতিক তেল-গ্যাস অনুসন্ধানী কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে চুক্তিতে দুর্নীতি সম্পর্কে রয়্যাল কানাডিয়ান পুলিশ, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এবং পেট্রোবাংলার তথ্য-উপাত্ত আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে (ইকসিড) জমা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। গত ৮ আগস্ট তথ্য-প্রমাণ জমা দেওয়া হয়। আগামী ১১-১৯ ডিসেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে এ বিষয়ে শুনানি আয়োজন করেছে ইকসিড। জ্বালানি বিভাগ ও পেট্রোবাংলা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
গ্যাস অনুসন্ধানে কানাডার নাইকো কোম্পানির সঙ্গে ২০০৩ সালে চুক্তি করে বাপেক্স। আর গ্যাস সরবরাহ ও কেনাবেচার জন্য ২০০৬ সালে পেট্রোবাংলার সঙ্গে চুক্তি করে ওই কোম্পানি। এর মধ্যে ২০০৫ সালে নাইকোর ছাতক গ্যাসক্ষেত্রে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এ বিষয়ে ক্ষতিপূরণের জন্য আদালতে ২০০৭ সালে মামলা করে পেট্রোবাংলা। নিম্ন আদালত নাইকোর ফেনী ক্ষেত্রের গ্যাসের দাম পরিশোধে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এই নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে এবং পাওনা আদায়ে ২০১০ সালে ইকসিডে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করে নাইকো।
মামলা দুটি এখনও বিচারাধীন। এদিকে নাইকোর সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির প্রক্রিয়া অস্বচ্ছ হওয়ায় ২০১৭ সালে চুক্তি বাতিল করে দেন হাইকোর্ট। পরবর্তী সময়ে আপিল বিভাগও চুক্তিটি বাতিল করে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে ইকসিডে আরেকটি মামলা করে নাইকো।
সূত্র জানায়, তৃতীয় মামলার সাক্ষপ্রমাণ হিসেবে রয়্যাল কানাডিয়ান পুলিশ, এফবিআই এবং পেট্রোবাংলার তথ্য-উপাত্ত ৮ আগস্ট ইকসিডে জমা দেওয়া হয়েছে। ওই সূত্রের দাবি, এই চুক্তিতে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা কানাডিয়ান পুলিশ ও এফবিআইয়ের তথ্য-উপাত্তে প্রমাণিত হয়েছে। ডিসেম্বরে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিতব্য শুনানিতে অংশ নিতে জ্বালানি বিভাগ ও পেট্রোবাংলার একটি প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্র সফর করতে পারে।
নাইকো মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলাটি বর্তমানে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন। এ মামলার শুনানিতে সাক্ষ্য দিতে আগামী ২২ আগস্ট এফবিআই ও কানাডিয়ান পুলিশের তিন সদস্যের ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। এদিকে দুদকের এই মামলা চলবে কিনা, সে বিষয়ে ১৪ আগস্ট আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।