ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

২৮ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি

বন্ধ তিন চিনিকলে ইটিপি জনগণের অর্থের অপচয়

বন্ধ তিন চিনিকলে ইটিপি জনগণের অর্থের অপচয়

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৩ | ১৪:২৬ | আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০২৩ | ১৪:২৬

দুই দশক আগে বন্ধ হওয়া রংপুর সুগারমিলসসহ তিনটি চিনিকলে অপ্রয়োজনীয় ইটিপি (বর্জ্য শোধণাগার) স্থাপনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশিষ্টজন। 

বৃহস্পতিবার ২৮ বিশিষ্ট নাগরিক স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এটাকে ‘জনগনের টাকার অপচয়’ উল্লেখ করে তদন্তের দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে তারা বলেন, জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে তারা জানতে পেরেছেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের আওতাধীন তিনটি চিনিকল বছরের পর বছর বন্ধ থাকার মধ্যে সম্প্রতি ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে বর্জ্য শোধনাগার বা ইটিপি স্থাপন করা হয়েছে। চিনিকলগুলো হলো– গোবিন্দগঞ্জের রংপুর সুগার মিলস লিমিটেড, দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ সুগার মিলস লিমিটেড ও পঞ্চগড় সুগার মিলস লিমিটেড। এতে বলা হয়, যেসব শিল্পে দরকার, সেখানে ইটিপি স্থাপনে সরকারের সংশ্লিষ্টদের যে উদ্যোগ ও তাগিদ একান্ত কাম্য, সেটা প্রায় অনুপস্থিত। সাভারের ট্যানারী শিল্পসহ অন্য অনেক কারখানায় ইটিপি বসানো হলেও তা নিয়মমতো চালু রাখা হয় না, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এসব বিষয়ে সরকারের তদারকি কিংবা আইন প্রয়োগে দৃশ্যমান উদ্যোগ দেখা যায় না। অথচ অপ্রয়োজনীয় ইটিপি বসিয়ে জনগণের ট্যাক্সের কোটি কোটি টাকা অপচয় করা হচ্ছে।

বিশিষ্ট নাগরিকরা বলেন, দেশে বিরাজমান নানা সংকটের মধ্যে যখন সরকার সব ধরনের অপচয় রোধ ও কৃচ্ছ্র সাধনের কথা বার বার বলছে, তখন চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন কিংবা মিল কর্তৃপক্ষ কি করে বহু বছরের বন্ধ শিল্প কারখানার জন্য অপ্রয়োজনীয় ইটিপি স্থাপনে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্প নিতে পারে– দেশবাসী ও ট্যাক্সদাতা নাগরিক হিসেবে সেটাই আমাদের জিজ্ঞাসা। একটি কমিশন গঠন করে এ ঘটনার স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান তারা।

বিবৃতিতে সাক্ষরকারীদের মধ্যে আছেন– তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল, ‘নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী ও এএলআরডির চেয়ারপার্সন খুশী কবির, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সভাপতি জেড আই খান পান্না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও এইচডিআরসির উপদেষ্টা আবুল বারকাত, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাণা দাশগুপ্ত, বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজিম উদ্দিন খান।


আরও পড়ুন

×